Sylhet Today 24 PRINT

পাসপোর্টের মেয়াদ নেই খালেদার, বাড়াতে আবেদন

সিলেটটুডে ডেস্ক: |  ০৬ মে, ২০২১

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হলেও তার পাসপোর্টের মেয়াদ নেই। অন্তত দুই বছর আগে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু হয়।

এদিন পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়াতে (রি-ইস্যু) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। ব্যাংকেও ফি জমা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।

তবে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (পাসপোর্ট ও ভিসা) সাইদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের আবেদন অধিদপ্তরে পৌঁছেনি। আবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টর (এমআরপি) আবেদন জমা নেওয়া বন্ধ রয়েছে। ই-পাসপোর্ট আবেদন জমা নেওয়া ও বিতরণ করা হচ্ছে। তবে ই-পাসপোর্ট পাওয়া প্রক্রিয়াগত কারণে সময়সাপেক্ষ। বিশেষ ধরনের এই পাসপোর্টে আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণির ছাপ নেওয়া হয়। খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এসব কার্যক্রম শেষ করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এজন্য তাকে এমআরপি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়েই কার্যক্রম শেষ করা যাবে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অপর এক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার পক্ষে তার পরিবারের কেউ পাসপোর্টের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও সেটি যাচাই বাচাই শেষে নিয়ম অনুযায়ী অধিদপ্তরে জমা হবে। যেহেতু এমআরপি বন্ধ থাকার পরও এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমোদন লাগবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, তাছাড়া খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে থাকায় তার পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়েরও অনুমোদন নিতে হতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে হয়তো আবেদন গ্রহণের এক থেকে দুইদিনের মধ্যেই রি-ইস্যু পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা 'ফিরোজায়' চিকিৎসা চলতে থাকে। আক্রান্তের ১৪ দিন পরও করোনা টেস্ট করা হলে ফল আবারও পজিটিভ আসে। এরপর কিছু পরীক্ষার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় পরীক্ষা করে বাসায় ফেরার পর দ্বিতীয় দফায় ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গত সোমবার ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.