Sylhet Today 24 PRINT

পিইসি-ইবতেদায়িতে এবার অটোপাস নয়, বাড়ির কাজ মূল্যায়ন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২০ জুন, ২০২১

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবার হবে না। তবে গতবারের মতো অটোপাস না দিয়ে এবার ‘বাড়ির কাজের’ ওপর মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেয়া হবে।

পরীক্ষার বদলে বিকল্প চিন্তার অংশ হিসেবে এমনটাই ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘দিন দিন খারাপ হচ্ছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া কঠিন। আমরা বিকল্প চিন্তা করছি।’

বিকল্প চিন্তায় কী রয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এবার অটোপাস দেয়া হবে না। তবে পরীক্ষার্থীদের বাড়ির কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার চিন্তা রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

একই পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনও।

তিনি বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

অটোপাস দেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অটোপাস না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

ইবতেদায়ি পরীক্ষার বিষয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইবতেদায়ি পরীক্ষা নিয়ে থাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরাও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে পিএসসি, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। পিএসসি ও জেএসসি শিক্ষার্থীদের ‘অটো প্রমোশন’ দেয়া হয়েছিল। আর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ফলাফল দেয়া হয়।

টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও গুগলমিটের মাধ্যমেও ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। আর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে দেয়া হচ্ছে ‘বাড়ির কাজ’।

সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকরা ‘বাড়ির কাজ’ বুঝিয়ে দিয়ে আসেন। শিক্ষার্থীরা অভিভাবকের সহায়তায় ‘বাড়ির কাজ’ করে রাখে। পরের সপ্তাহে গিয়ে তা সংগ্রহের পাশাপাশি নতুন কাজ দিয়ে আসেন শিক্ষকরা। দ্বিতীয় সপ্তাহে গিয়ে সেটা সংগ্রহ করে আবার তৃতীয় সপ্তাহের বাড়ির কাজ দিয়ে আসেন শিক্ষকরা। এই পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।

দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.