Sylhet Today 24 PRINT

লকডাউন পেছাবে না, তবে বাড়ি ফেরায় ছাড় দেওয়া হতে পারে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ জুলাই, ২০২১

শিথিল অবস্থার মেয়াদ পিছিয়ে ২৭ জুলাই থেকে আবার লকডাউন দেয়ার যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে, ফের লকডাউন দেয়া নিয়ে সরকার আগের অবস্থানে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ঈদের ছুটির আগেও লকডাউন শিথিলের মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।

শিথিল অবস্থার মেয়াদ পিছিয়ে ২৭ জুলাই থেকে আবার লকডাউন দেয়ার যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ঘোষণা আছে, আগামী শুক্রবার থেকে আবার মানুষের অবাধ চলাফেরা বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারে এমন কোনো আভাস দিচ্ছেন না কেউই।

তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন ঢাকায় ফেরার ক্ষেত্রে শুক্র ও শনিবার কিছুটা ছাড় দেয়া হতে পারে। কিন্তু রোববার থেকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করতে দেয়া হবে না কাউকে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ফের লকডাউন দেয়া নিয়ে সরকার তার আগের অবস্থানেই রয়েছে। ঈদের ছুটির আগেও লকডাউন শিথিলের মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। লকডাউন শিথিল নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তার ভিত্তি নেই।

গত ১ জুলাই থেকে টানা দুই সপ্তাহ শাটডাউনের পর কোরবানি ঈদ ও পশুর হাট আর ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাত্রা বিবেচনায় ১৫ জুলাই থেকে তা শিথিল করে সরকার। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে তখনই জানিয়ে দেয়া হয়, ২৩ তারিখ ভোর থেকে আবার ১৪ দিনের লকডাউন দেয়া হবে।

ফলে যারা বাড়ি গিয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করছেন তাদের কর্মস্থল বা নির্ধারিত গন্তব্যে ফিরে আসতে হবে শুক্রবার ভোর ৬টার মধ্যে।

এরপরও গুঞ্জন ওঠে চলাফেরায় চলমান শিথিলের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। আবার লকডাউন দেয়া হলেও তা ২৭ তারিখের পর হতে পারে বলছেন বহুজন।

এর মধ্যে গত শনিবার চুয়াডাঙ্গায় এক অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন লকডাউন শিথিলের মেয়াদ বাড়ানো হবে না। সরকারের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই আবার দেয়া হবে ১৪ দিনের শাটডাউন। এই সময়ে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের কোনো সুপারিশও আমলে নেয়নি সরকার।

লকডাউন শুরু হওয়া মাত্রই বন্ধ থাকবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমানসহ সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল গণপরিবহন ও সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন।

কোনো অবস্থাতেই খোলা যাবে না শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট। বন্ধ থাকবে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্রের মতো সব ধরনের জনসমাগম কেন্দ্র।

ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের মতো অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবে কেউই বাড়ির বাইরে আসতে পারবে না।

নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে সরকার। এজন্য মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বসানো হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

টহল নিশ্চিত করে লকডাউনে বাস্তবায়নে ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় মাঠে নামানো হবে সেনাবাহিনীকে। এ ছাড়া, মাঠে থাকবে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও আনসার।

তবে যারা করোনা প্রতিরোধী টিকা নেবেন তাদের টিকা কার্ড দেখিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে কোনো বাধা থাকবে না। আর খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে। তাই বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের সুযোগ রেখেছে সরকার।

তবে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিকের মতো সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা যাবে না এই সময়ের মধ্যে।

বরাবরের মতো জরুরি সেবাকে বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে। জরুরি সেবার মধ্যে যারা আছেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করেছে সরকার।
সূত্র: নিউজবাংলা

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.