Sylhet Today 24 PRINT

পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লিতে সহিংসতা: ছাত্রলীগ নেতা সৈকতের স্বীকারোক্তি

সিলেটটুডে ডেস্ক: |  ২৪ অক্টোবর, ২০২১

রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ‘প্রধান অভিযুক্ত’ সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সৈকত মণ্ডল।

রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে রোববার সন্ধ্যায় তিনি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সৈকত মণ্ডলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ্ত শাহীন জানান, র‍্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সৈকতকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি জানান, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামকে আদালতে তোলা হলে তিনিও স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতকে জানিয়েছেন।

হিন্দুপল্লিতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা ৩৭ আসামিকে বিকেলে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় শুনানি শেষে তাদেরকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন একাধিক আইনজীবী। তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এখনও তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে আবারও রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জের রামনাথপুর উত্তরপাড়া হিন্দুপল্লিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আলাদা চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। একটি অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা।

রোববার পর্যন্ত চার মামলায় ৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় ‘প্রধান অভিযুক্ত’ সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মণ্ডল ও তার সহযোগী বটেরহাট মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‍্যাব।

পীরগঞ্জ থানায় রোববার সকালে এই মামলা করেন র‍্যাব-১৩-এর ডিএডি আব্দুল আজিজ।

সৈকত মণ্ডল কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দেয়ায় সম্প্রতি তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানায় ছাত্রলীগ।

সৈকত ও তার সহযোগীর বিষয়ে শনিবার র‍্যাব জানায়, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং মাইকিং করে হামলাকারীদের জড়ো করেন বলে জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তোলেন। এ ছাড়া তিনি ওই হামলা ও অগ্নিসংযোগে অংশগ্রহণে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন।’

সূত্র: নিউজবাংলা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.