Sylhet Today 24 PRINT

খালেদা জিয়া এখন বিপদমুক্ত: ডা. জাহিদ

সিলেটটুডে ডেস্ক: |  ২৫ অক্টোবর, ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বায়োপসির জন্য শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন ভালো আছেন, বিপদমুক্ত আছেন। অস্ত্রোপচারের পর ছেলে তরেক রহমান, ভাই শামীম ইস্কান্দার ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘সোমবার দুপুরে এই পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগে। সেটা কমপক্ষে ৭২ ঘন্টা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২১ দিনও লাগে। রেজাল্ট আসার উপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীরে একটি ছোট লাম্প আছে চিকিৎসকরা এটা জানার পর বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সেটি করা হয়েছে। এর রেজাল্ট আসতে সময় লাগে। বায়োপসি করলেই হবে না। এটার জেনেটিক স্টাডি করতে হবে। সব স্টাডি দেশে করাও যায় না।’

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স ৭৬ বছর। তার পুরানো সমস্যাও রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড মতামত দিয়েছেন, সুচিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড ডেভেলপ সেন্টারে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। অতি দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে সুচিকিৎসার প্রয়োজন। তিনি জানন, বায়োপসি হচ্ছে ডায়াগনিস্টিক প্রসেসের একটি অংশ। পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে তা এর রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্য জামিন প্রাপ্য হওয়া সত্ত্বেও সরকার তাকে জামিন দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার যদি বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় তার দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক যে অবস্থা তাতে সরকারেরই বিদেশ যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া উচিত। আদালতের মাধ্যমে সুরাহার যে যুক্তি দিয়েছেন, তা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুদিন আগে থেকে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর গত দুই সপ্তাহে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। চিকিৎসকেরাও কিছু বলছেন না।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে করোনা কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। কিন্তু বাসায় কিছুদিন ধরে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল।

মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বৃদ্ধি করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন জানানো হলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.