Sylhet Today 24 PRINT

নির্বাচনের দুইদিন পর স্কুলের আলমিরায় মিলল ব্যালট পেপার

সিলেটটুডে ডেস্ক: |  ০১ ডিসেম্বর, ২০২১

কক্সবাজারের পেকুয়ায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়র পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট হয়ে গেছে গত ২৮ নভেম্বর। এর প্রায় দুই দিন পর এক কেন্দ্রের আলমিরায় পাওয়া গেছে খালি ব্যালট পেপার। অভিযোগ উঠেছে, এই কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ব্যালেট পেপারের খোঁজ মেলে পেকুয়ার মধ্যম উজানটিয়া ভেলুয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমিরায়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আহমদ হোসেন বলেন, সকালে ছাত্রছাত্রী আসার পর আমি অফিস খুলে দিই কক্ষগুলো একটু পরিষ্কার করার জন্য। এসময় অফিসের স্টিলের আলমিরা খুলে দেখি কতগুলো ব্যালেট পেপার।

ওই ওয়ার্ডের এক প্রার্থী বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সব কেন্দ্রে অর্থাৎ নয়টি কেন্দ্রেই ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভোট জালিয়াতি হয়েছে। এ রকম নির্বাচন আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমরা ভোট পুনঃগণনা ও যাচাই-বাচাইয়ের দাবি জানাচ্ছি।

মেম্বার প্রার্থী জিয়াউল হক সিকদার বলেন, আমার ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোট কারচুপি হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের জমির উদ্দিনের সঙ্গে আঁতাত করে কেন্দ্রে আমার কর্মীদের ভোট দিতে বাঁধাগ্রস্ত করেছেন। কালো টাকার কাছে বিক্রি হয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মহেশখালী আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল বিএম কলেজের প্রভাষক মো. বেলাল হোছাইন।

এ বিষয়ে উজানটিয়ার নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভোটের আগে আমি ওই ধরনের সংবাদ পেয়েছিলাম। কিছু ব্যালট পেপার রাতেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে এসে পৌঁছেছিল। এ নিয়ে উজানটিয়া এলাকার এক সাংবাদিক, প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল করিম ও প্রশাসনের কয়েকজন লোক টইটংয়ের এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় বৈঠক করেছিলেন। আমি এ সংবাদকে অবিশ্বাসযোগ্য বলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ তার বাস্তব প্রমাণ মিলল। উদ্ধার হওয়া ব্যালেট আর সেদিন সকালে দেওয়া ব্যালেট হুবহু, তবে সিরিয়াল নম্বরে অমিল। আমার সন্দেহ বাক্সের ভেতরের ব্যালট পেপার পুনরায় যাচাই-বাচাই করা হলে কারচুপির বিষয়টা প্রমাণিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোছাইনের ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ব্যালেট পেপার উদ্ধারের বিষয়টি জেনেছি। তদন্তের আগে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

সূত্র: সমকাল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.