Sylhet Today 24 PRINT

প্যান্ডোরা পেপারসে সিলেটের একজনসহ আরও ৩ বাংলাদেশি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৪ মে, ২০২২

প্যান্ডোরা পেপারসের চূড়ান্ত তালিকায় আরও তিন বাংলাদেশির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে আছে সিলেটের একজন।

মঙ্গলবার অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস বা আইসিআইজে প্রকাশিত এ নথিতে এ নামগুলো আসে।

গোপনে অন্য দেশে সম্পদ বিনিয়োগকারীদের পরিচয় ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই প্যান্ডোরা পেপারস। গত বছরের ৩ অক্টোবর প্যান্ডোরা পেপারসের প্রথম ধাপের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয় দ্বিতীয় ধাপের তালিকা।

চূড়ান্ত তালিকায় নাম আসা বাংলাদেশিরা হলেন এস হেদায়েত উল্লাহ, এস রুমি সাইফুল্লাহ ও শাহেদা বেগম শান্তি। এর মধ্যে প্রথম দুজনের নাম উল্লাহ এস হেদায়েত ও সাইফুল্লাহ এস রুমি নামেও এসেছে।

আইসিআইজের তথ্য অনুযায়ী, এস হেদায়েত উল্লাহ ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসের নর্দান রোডের একটি বাড়ির বাসিন্দা। এস রুমি সাইফুল্লাহও একই ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। আর শাহেদা বেগম শান্তির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের একটি বাড়ি।

হেদায়েত উল্লাহ ও রুমি সাইফুল্লাহ বিনিয়োগ করেছেন হংকংয়ের ট্রান্সগ্লোবাল কনসাল্টিং (এইচকে) লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে। জাস লিমিটেড নামে একটি অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে শাহেদা বেগম শান্তির।

এর আগে গত বছর ৬ ডিসেম্বর প্যান্ডোরা পেপারসের দ্বিতীয় ধাপের তালিকায় বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আটজনের নাম আসে। তারা হলেন নিহাদ কবির, সাইদুল হুদা চৌধুরী, ইসলাম মঞ্জুরুল, মোহাম্মদ ভাই, সাকিনা মিরালী, অনিতা রানী ভৌমিক, ওয়াল্টার পোলাক ও ডেনিয়েল আর্নেস্তো আইউবাত্তি।

প্যান্ডোরা পেপারস ফাঁসের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তির অর্থ পাচার, কর ফাঁকি ও গুপ্ত সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে। তিন ধাপে ফাঁস করা এসব ব্যক্তির তালিকায় মোট ১১ বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন।

প্যান্ডোরা পেপারসে নথি ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, প্যান্ডোরা পেপারসে নাম এলেই কেউ বেআইনি কাজে জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না।

প্যান্ডোরা পেপারস প্রকাশের পর গত অক্টোবরে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভিনদেশে অর্থ ও সম্পদ রাখতে চাওয়ার পেছনে কিছু বৈধ কারণও রয়েছে। এসব কারণের মধ্যে আছে অপরাধীদের আক্রমণ কিংবা অস্থিতিশীল সরকার থেকে সুরক্ষা। গোপনে অফশোর কোম্পানির মালিকানা থাকা অবৈধ কিছু না হলেও অর্থ ও সম্পদ সরিয়ে নেওয়ার কাজে এ ধরনের গোপন কোম্পানির ব্যবহার ভালো কিছু নয়; বরং তা অপরাধের প্রক্রিয়া গোপন রাখার একটি উপায়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.