Sylhet Today 24 PRINT

প্রেমিকাকে বিয়ের পর পাচারকারীর কাছে বিক্রি, মৌলভীবাজার থেকে মূলহোতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: |  ২৪ মে, ২০২২

ফেসবুকে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সোহেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান নুর নাহার (ছদ্মনাম)। এরপর তাকে কৌশলেই ভারতীয় পাচারকারীর হাতে তুলে দেন সোহেল। ভারতে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাকে একাধিকবার পাচারদলের সদস্যরা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সেই নারী।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামিকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া (২৫) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-৯ এর গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি নিজের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনায় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে পাটগ্রাম থানা পুলিশ গত শনিবার অভিযান চালিয়ে পাচারদলের সদস্য আশরাফুল ইসলাম, মোকছেদুল হক, চম্পা বেগম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩ বছর পূর্বে পরিচয়ের পর প্রেম হয় তাদের। তারপর প্রেমিক নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়ার পুত্র সোহেল ও প্রেমিকা নুর নাহার অবৈধভাবে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে প্রেমিকা নুর নাহারকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করার চেষ্টা করেন সোহেল।

কিন্তু নুর নাহার বিষয়টি বুঝতে পেয়ে সোহেলের সঙ্গে ঝগড়া করেন। পরে ৮/৯ মাস পর ভারতের কলকাতা থেকে কৌশলে একই পথে দেশে পালিয়ে আসেন প্রেমিকা নুর নাহার (ছদ্মনাম)। কিছু দিন পরও দেশে আসেন সোহেল। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ আদালতে সোহেল ও নুর নাহার বিয়ে করেন। কিছু দিন পর নুর নাহার গর্ভবতী হন।

কিন্তু সোহেল আবার নুর নাহারকে পাচারের জন্য পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পাঠিয়ে দেন স্বামী সোহেল। ১৩ মে ভোরে পাচারকারীরা তাকে ওই উপজেলার দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে দেয়।

এ সময় নুর নাহারকে ধর্ষণ করেন ওই পাচার দলের সদস্য মোকছেদুল। নুর নাহার ভারতে প্রবেশের পর বুঝতে পারেন তার স্বামী তাকে পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ১৫ মে রাতে আবারও নুর নাহার কৌশলে দেশে দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ফিরে আসেন।

দেশে ফেরার পর এবার আশরাফুল ইসলাম নামে অপর এক পাচারকারী দলের সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন। টাকার জন্য নুর নাহার ১৫ মে থেকে আটকে রাখেন পাচার দলের সদস্যরা। সেখান থেকেও কৌশলে পালিয়ে পাটগ্রাম থানায় আশ্রয় গ্রহণ করেন নুর নাহার।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.