Sylhet Today 24 PRINT

এইচএসসির প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানি’, মন্ত্রী বললেন ‘দুঃখজনক’

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৭ নভেম্বর, ২০২২

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের দেশ। এ দেশে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো কিছু থাকবে তা খুবই দুঃখজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানির বীজ বপন করতে চায় তাদের ভবিষ্যতে এসব কাজের সঙ্গে (প্রশ্নপত্র সেটিং-মডারেটিং) আর সম্পৃক্ত করা হবে না। একই সঙ্গে যারা প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রশ্ন সেটিং বা প্রশ্ন মোডারেটিং এমনভাবে হয় যে যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও আর পুনরায় তা দেখতে পারেন না। একই সঙ্গে মডারেটরের বাইরে ওই প্রশ্নের একটি অক্ষরও কারো দেখার সুযোগ থাকে না। আমাদের একদম সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে- কী কী বিষয় মাথায় রেখে এ প্রশ্নগুলো তারা করবেন।

তিনি আরও বলেন, সেক্ষেত্রে প্রশ্নে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাও যেন না থাকে সেটিও নির্দেশনায় আছে। খুবই দুঃখজনক কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনোভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন অথবা তিনি স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এ প্রশ্ন কোন মডারেটর করেছেন। একই সঙ্গে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছি।

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পুরোনো সিলেবাস গুলিয়ে ফেলার কাজটি শিক্ষাবোর্ড করেছে বলে এখনো আমাদের মনে হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে, প্রশ্ন যখন ছাপা হয়েছে তখন একটি ত্রুটি থেকে যেতে পারে। অথবা ছাপা হওয়ার পর পাকেজিং হওয়ার কোনো এক পর্যায়ে এ ত্রুটি হতে পারে।

এর আগে গতকাল (৬ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অভিযোগ উঠেছে প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সাম্প্রদায়িকতার উসকানির অংশ-নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ তাদের। অনেক বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে।

আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে তিনি নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এ ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.