সিলেটটুডে ডেস্ক | ০৭ অক্টোবর, ২০২৫
সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও কিছু উল্লেখ করেননি বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর বলছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেনাপ্রধানের একটি বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন হচ্ছে।
সোমবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে (স্টাডি পিরিয়ড) সেনা সদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোতায়েন এবং এর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি আলোকপাত করা হয় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ দন্ডবিধি (সিআরপিসি) ১২৭-১৩২ ধারা, সেনাবাহিনীকে দেওয়া ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দিক।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মাঠে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সিআরপিসি-১৩২ এ প্রদত্ত দায়মুক্তির বিষয়ে কথা ওঠে। সেনাপ্রধান আলোচনার অংশ হিসেবে সিআরপিসি-১৩২ এ প্রদত্ত দায়মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সিআরপিসির অধীনে সরকারি আদেশে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যরা প্রদত্ত আইনি বিধান অনুসারে বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করেন। অতএব, দায়িত্বরত এই সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আলোচনার কোনও পর্যায়েই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু একটি মহল বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ ও হীন উদ্দেশ্যে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাডি পিরিয়ডের বিষয়বস্তু ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।