Sylhet Today 24 PRINT

প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা: খুনের মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে খুন হন মামুন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১০ নভেম্বর, ২০২৫

প্রায় ২৯ বছর আগের একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে রাজধানীর আদালতপাড়ার কাছে খুন হয়েছেন তারিক সাইফ মামুন (৫৫)। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে তিনি খুন হন।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২–এর পেশকার মো. শাহিন বলেন, ২৯ বছর আগের একটা হত্যা মামলায় সোমবার হাজিরা দিতে সকালের দিকে আদালতে আসেন মামুন। সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে ওঠেন। একটা মামলার পরই তাঁর মামলার ডাক আসে। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাজিরা দেন। তবে এ মামলার কোনো সাক্ষী আসেনি। বিচারক আগামী বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালত ছেড়ে চলে যান।

গুলির ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তখন দুই ব্যক্তি খুব কাছে থেকে তাঁকে গুলি করছেন। ঘটনাটি ঘটে তিন থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে। গুলি করার পর দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

গুলির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হাসপাতালের ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখি, একটা লোক দৌড়ে হাসপাতালের দিকে আসছেন। পেছন থেকে দুজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। প্রথম গুলি হাসপাতালের ওপরের দিকে করেন। সেটা সোজা তিনতলার কাচে গিয়ে লাগে। ছয় থেকে সাতটি গুলি ছোড়েন। এরপর এক ব্যক্তির বুকের ডান পাশে গুলি করেন। তাঁর হাতেও গুলি লাগে।’

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে (৫৫)।

জাহিদ আমিন ওরফে হিমেল নামের ২৫ বছরের এক যুবককে ১৯৯৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন হিমেলের বন্ধু সাইদও আহত হন। এ ঘটনায় হিমেলের মা জাফরুন নাহার সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২–৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিক সাইফ মামুনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপর আসামিরা হলেন ওসমান, মাসুদ ওরফে নাজমুল হোসেন, রতন, ইমন ও হেলাল। এ মামলায় সোমবার শুনানি ছিল।

ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র বলছে, তারিক সাইফ মামুন (৫৫) একজন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনি একসময় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তবে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
✉ sylhettoday24@gmail.com ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.