সিলেটটুডে ডেস্ক | ২১ নভেম্বর, ২০২৫
এক বছর পর আবারও সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে এলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া; প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের আসনে বসে তিনি উপভোগ করলেন সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় গুলশানের বাসা থেকে তিনি সেনাকুঞ্জে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসে অনুষ্ঠানস্থলে যান খালেদা জিয়া। এ সময় তার পরনে ছিল ল্যাভেন্ডার রঙের শিফন শাড়ি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে গাড়ি বহরে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার বোন সৈয়দা শামিলা রহমান, ছোট ভাইয়ে স্ত্রী নাসরিন সাঈদ ইস্কান্দার। এছাড়া স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সম্মতি জানিয়েছেন। চেয়ারপার্সন তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
সেনা কুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেদিন খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পৌঁছালে বিকাল ৪টার পর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেন।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও সেনাকুঞ্চের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
ছয় বছর পর গতবছর এই সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানেই প্রকাশ্যে দেখা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
নানা ধরনের অসুস্থতার কারণে এখন তিনি রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেন না। গত এক বছরের মধ্যে কেবল একবারই তাকে প্রকাম্যে দেখা গিয়েছিল। গত ৮ অক্টোবর রাতে তিনি তার স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে শেরেবাংলা নগরে গিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিবছর দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যাতে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।