Sylhet Today 24 PRINT

মন্ত্রীকে না জানিয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ সেল বন্ধ

নিউজ ডেস্ক |  ১৭ মার্চ, ২০১৬

সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রহণ করতে বিগত মহাজোট সরকারের আমলে চালু হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের 'অভিযোগ সেল'। তৃণমূলে পুলিশি সেবা না পেলে হয়রানির শিকার হলে এই সেলে অভিযোগ করা যেত। তৃণমূল থেকে অনেক গোপন তথ্য জানতে পারতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব। অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে না জানিয়েই 'অভিযোগ সেলে'র কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থাকা অভিযোগ গ্রহণের বাক্সটিও আর নেই।

সেলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেকেই সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন। প্রতিদিন ভিড় করছেন সচিবালয়ে তার দপ্তরে। এতে মন্ত্রীর দৈনন্দিন কার্যক্রমেও কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, 'অভিযোগ সেল পুনরায় চালু করা হবে। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে এ অভিযোগ সেলটি গঠন করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রহণের জন্য শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই নয়, সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনেও অভিযোগ বাক্স রাখা ছিল। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তথ্য-উপাত্তসহ অভিযোগ দিয়ে আবেদন করতেন ওই সেলে। আবেদন যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হতো। জমা পড়া অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে তা পুলিশ সদর দপ্তরসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হতো। 'পুলিশি' বিষয় হলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতো। পাশাপাশি সিভিল প্রশাসন-সংক্রান্ত কিছু হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হতো। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিত।

সূত্র জানায়, একই দালাল চক্রের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটায় অভিযোগ সেলটি নামসর্বস্ব হয়ে পড়েছিল। মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে তারা সেলের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। পরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তার অভাব দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক উইং তা দেখভাল শুরু করে। একজন উপসচিব নামকাওয়াস্তে অভিযোগ সেল দেখতেন। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবেদনগুলো বাছাই করে 'নোট' প্রস্তুত করতেন। এখন সেই সেকশনও আর নেই।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ আবেদনে চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, জীবননাশের হুমকি, স্থানীয় থানা পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার ও হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিকার চাওয়া হতো।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.