Sylhet Today 24 PRINT

খাদ্যমন্ত্রী কামরুলকে ফের ব্যাখ্যা দিতে হবে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২০ মার্চ, ২০১৬

শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল রায় নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা গ্রহণ করেন নি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

খাদ্যমন্ত্রীকে নতুন করে তার ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কামরুল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আগামী ২৭ মার্চ আবারও রুলের শুনানিতে ফের হাজির হতে বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রোববার এই আদেশ দেয়।

এর আগে ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক হাজিরা দিয়েছেন। তবে, বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

তার সময় আবেদন মঞ্জুর করে ফের দুই মন্ত্রীকে ২০ মার্চ আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৯ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

ওই দিন আদালতে মোজাম্মেল হকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। কামরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার।

গত ৮ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে তলব করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৯ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ জারি করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে সরকারের এ দুই মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

সরকারের দুই মন্ত্রীকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। অন্যদিকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয় সোমবারের (১৪ মার্চ) মধ্যে।

নোটিশে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- তা দুই মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ।

দুই মন্ত্রীর পক্ষে ১৪ মার্চের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় নোটিশের জবাব দাখিল করা হয়েছে।

গত ৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে মীর কাসেমের মামলার আপিল শুনানি পুনরায় করার দাবি জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইমলাম।

সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলছি, এ রায় নিয়ে যে শঙ্কা এখন একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। তবে এই সংকট আমাদের সৃষ্ট নয়। সংকট সৃষ্টি করেছেন আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি। এটাই আমাদের দুঃখ।’

রায়ের আগে প্রধান বিচারপতি যদি এমন কথা বলেন তাহলে জাতি কোথায় যাবে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তলবাদেশ ও নোটিশ জারির সময় সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘গণমাধ্যমে তাদের যে সমস্ত বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ করা হয়েছে তা অশোভন ও অবমাননাকর। এ বক্তব্যগুলোতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিরা স্তম্ভিত। এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে মনে করি’।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.