Sylhet Today 24 PRINT

প্রেমিকের বুক কেটে হৃৎপিণ্ড বের করে আনা প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক |  ২৯ মার্চ, ২০১৬

প্রেমিককে হত্যার পর তার বুক কেটে হৃৎপিণ্ড বের করে আনার অপরাধে এক তরণীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে একটি আদালত।

দু’বছর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল খুলনায়।

সরকারি আইনজীবী বলেছেন, ঐ তরুণীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে। সোমবার রায় ঘোষণার সময় ওই তরুণী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই তরুণীটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

খুলনায় সরকারি আইনজীবী সাব্বির আহমেদ বলেছেন, তরুণীর জবানবন্দীতে প্রেমিককে হত্যার ভয়াবহ বর্ণনা ছিল। তদন্তে এবং বিচারে তা প্রমাণ হয়েছে।

তিনি বলেন, মেয়েটি ঘুমের বড়ি কিনেছিলো। কিনেছিলো কোমল পানীয় আরসি কোলা। ওই পানীয়ের মধ্যে সে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছে। তারপর সাথে করে একটা ছুরিও নিয়ে গেছে।

“ছেলেটাকে সে ওই পানীয় খেতে বলে। ছেলেটা সেটা ঢক ঢক করে গিলে ফেলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অচেতন হয়ে যায়। প্রথমে ওর গলা কাটে। মৃত্যু হওয়ার পরে ও বলে যে ছেলেটা কতো বড়ো দুশ্চরিত্র আর কলিজার অধিকারী সেটা দেখার জন্য সে বুক চিড়ে কলিজা বের করে সেটা সে খাটের ওপর রাখে।”

সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, এসব বর্ণনা তরুণীর স্বীকারোক্তির মধ্যেই আছে।

২১ বছর বয়সী এই তরুণী অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন। নিজের বাবা মা না থাকায় তিনি আরেকজন মহিলার সাথে থাকতেন।

সাব্বির আহমেদ বলেছেন, আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে তরুণীটি প্রেমে প্রতারিত হওয়ায় প্রেমিককে হত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, মেয়েটি তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ছেলেটি ছিলো দুশ্চরিত্রের। ওর মা যখন খুলনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন মাকে দেখতে গেলে ছেলেটির সাথে মেয়েটির দেখা হয়। সেখান থেকেই প্রেমের শুরু।

তিনি বলেন, ছেলেটি ওই হাসপাতালের খণ্ডকালীন লিফ্টম্যান হিসেবে কাজ করতো। মেয়েটি যখন লিফটে উঠতো ছেলেটি লিফট বন্ধ করে দিয়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়। এক পর্যায়ে ছেলেটি এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে।”

আহমেদ বলেন, তারপরেই মেয়েটি তার প্রেমিককে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে মেয়েটি তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন। মামলায় আরেকজন অভিযুক্ত খালাস পেয়েছেন।

দরিদ্র পরিবারের এই তরুণীর পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছিল।

এখন জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আইন অনুযায়ী তা অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে যাবে। সেখানে আসামী পক্ষের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.