Sylhet Today 24 PRINT

তনু হত্যা : সেনা কর্মকর্তার ছেলে ও ৬ থিয়েটার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৩ এপ্রিল, ২০১৬

সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলায় সিআইডির তদন্ত দল কুমিল্লা সেনানিবাসের এক সেনা কর্মকর্তার ছেলে ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিআইডির একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিবির তদন্তকালে পিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

রোববার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে সিআইডির ঢাকা ও কুমিল্লার দল কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দুপুর ২টার দিকে সিআইডির তদন্ত দল কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কুমিল্লা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) অবস্থান করে।  

এদিকে সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটির) ছয় সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম। রোববার সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার কক্ষে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদ করা ভিসিটির ছয় সদস্যের মধ্যে ছিলেন- ভিসিটির বর্তমান সভাপতি রাশেদুল ইসলাম জীবন, ভিসিটির সদ্য সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সদস্য রাজিব, বাপ্পি, রিয়াদ ও আরজু।

পিবিআইয়ের টিমে ছিলেন- ইন্সপেক্টর সারওয়ার, ইন্সপেক্টর আবদুল বাতেন, সাব-ইন্সপেক্টর সোহরাব হোসেন এবং কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় এবং শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এই পৌণে দুই ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে ভিসিটির সদস্য হিসেবে তনুর কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক জানতে চাওয়া হয় এবং তনুর সাথে ভিসিটির সদস্যদের সর্বশেষ যোগাযোগের বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে তনু হত্যা মামলায় সিআইডির ঢাকার সিনিয়র বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ ও সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল হক খান এর নেতৃত্বে সিআইডির ঢাকা ও কুমিল্লার উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টিম তদন্তে মাঠে কাজ করছে।

নিহত সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারে মেধাবী ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য, নাট্যকর্মী ছিলেন।

সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল হক খান মামলার তদন্তে পুনরায় সেনানিবাসের ঘটনাস্থলে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এর বেশি এখন আর কিছু বলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লায় ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ বলে, ধর্ষণের পর নির্মমভাবে তনুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার বাবা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  ঘটনা তদন্তে র‌্যাব, পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে লাগাতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.