Sylhet Today 24 PRINT

বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার মানুষদের হত্যায় আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিবৃতি

সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক |  ১৬ মে, ২০১৬

বাংলাদেশে চলমান মুক্তচিন্তা চর্চাকারী নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ও বিচার দাবিতে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন দেশ বিদেশের খ্যাতিমান লেখক, বুদ্ধিজীবী ও অধিকার কর্মীরা।

রোববার (১৫ মে) সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছেও তাদের প্রেরিত একটি বিবৃতি এসে পৌঁছায়।

বিবৃতিতে তাঁরা ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ায় ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, "ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নাস্তিক ও সেক্যুলার একটিভিস্টদের উপর হামলাগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক।"

তাঁরা বলেন, "বাংলাদেশের লেখক, ব্লগার, প্রকাশক ও একক্টিভিস্টদের খুনীদের ধরবার চেষ্টা না করে উল্টো তাদের লেখালেখির জন্য দায়ী করে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায় হতে প্রদত্ত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি"।
 
ব্লগার, লেখক ছাড়াও বাংলাদেশে অধিকার কর্মী ও ভিন্নধর্মালম্বিরাও নিরাপদ নন উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, "ভিন্ন ধর্ম ও মতে বিশ্বাসী, সমকামীদের অধিকার বিষয়ক আন্দোলনকারী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও এসব হুমকি ও হামলা হতে রেহাই পাননি।"

এই হামলাগুলোর কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার-আল ইসলাম (আল-কায়েদার ভারত উপমহাদেশীয় নেটওয়ার্কের বাংলাদেশ শাখা) এবং বাকি হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেছে আইএস। যুক্ত করেন বিবৃতিদাতাগণ।

চলমান এসব হত্যাকাণ্ডে সরকার ও পুলিশ প্রসাশনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জাম খাঁন কামালের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন বিবৃতিদাতারা।

বাংলাদেশের মুক্তমনা হত্যার বিচার করা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার পরিবেশ তৈরি করার আহবান জানিয়ে ৪ দফা দাবিও জানানো হয় বিবৃতিতে।



বিবৃতিতে সাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক আলী রিয়াজ, এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, আহমেদিয়া মুসলিম জামাতের সহ-সভাপতি আহমেদ তাবশির চৌধুরি, ক্যালিফোরনিয়া রিভারসাইড কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর দিপেন ভট্টাচার্য,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, মসাহিদা সুলতানা, ডক্টর মোহাম্মদ তানজিমুদ্দিন খান, ডক্টর সামিনা লুৎফা, ডক্টর শাহিদুল আলম, লেখক অদিতি ফালগুনী, সুপ্রিতি ধর, চৈতি আহমেদ, মুক্তশ্রী চাকমা সাথি, খুশী কবির এবং ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।

প্রবাসে থাকা বাংলাদেশী স্বাক্ষরকারীদের  মধ্যে আরো রয়েছেন নির্বাসিত কবি তসলিমা নাসরিন এবং দাউদ হায়দার।

ভিনদেশীদের মধ্যে রয়েছেন ঔপন্যাসিক সালমান রুশদী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক রিচারড ডকিন্স,  সাহিত্যিক আয়ান হারশি আলি, ধর্মীয় পন্ডিত রেজা আসলান,এক্স-মুসলিম মুখপাত্র মারিয়াম নামাযী, লেখক এবং আধুনিকতাপন্থী মাজিদ নাওয়াজ, লেখক এবং স্নায়ুতত্ত্ববিদ স্যাম হ্যারিস, লেখক ইবনে ওয়ারাক, চলচিত্র পরিচালক এবং আধুনিকতাপন্থি দীয়া খান এবং ঙ্কুল সিং সুয়োনি, এবং লেখক অধ্যাপক ডক্টর পি.বি.ক্লিয়র এবং ডক্টর কলিন গনজালভেস- সিনিয়রএডভোকেট অফ সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সভাপতি হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক; আরো অনেক উল্লেখযোগ্য লেখক, কবি, শিল্পি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অনুবাদকারী, অধুনিকতাবাদী।

এছাড়াও স্বাক্ষর দাতাদের  মধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক, পন্ডিত, গবেষকও রয়েছেন।

বিবৃতির পূর্ণ বিবরণ


আমরা, নিম্নস্বাক্ষরকারী দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান, গত কিছুদিনে সন্ত্রাসীদের (উগ্র ইসলামপন্থী বলে ধারণা করা হচ্ছে) হাতে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার বাংলাদেশের লেখক, ব্লগার, প্রকাশক ও একক্টিভিস্টদের খুনীদের ধরবার চেষ্টা না করে উল্টো তাদের লেখালেখির জন্য দায়ী করে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায় হতে প্রদত্ত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি - তারা যেন ধর্ম, বিশ্বাস ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষায় দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

২০১৫ সনের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশের লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকরা ছয়টি ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন; সবগুলো ঘটনায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আক্রান্তকে হত্যা করা হয়। (১) ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, বইমেলা হতে ফেরার পথে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়; এসময় তাঁর স্ত্রী লেখক- একটিভিস্ট রাফিদা আহমেদ বন্যা মারাত্মকভাবে আহত হন। ৩০ মার্চ, ২০১৫, অফিসে যাওয়ার পথে ওয়াশিকুর রহমানকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। ১২ মে, ২০১৫, ওয়াশিকুরের মত একই ভাবে খুন হন অনন্ত বিজয় দাস। ৭ আগস্ট, ২০১৫, ছয়জন জঙ্গি ঘরে ঢুকে নিলয় নীলকে কুপিয়ে হত্যা করে। ৩১ অক্টোবর, ২০১৫, সেক্যুলার বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে তার অফিসে কুপিয়ে হত্যা করা হয়; একই দিন প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, কবি তারেক রহিম ও ব্লগার রণদীপম বসুকে মারাত্মক আহত করা হয়। ০৬ এপ্রিল, ২০১৬, আইনের ছাত্র নাজিমুদ্দীন সামাদ বাসায় ফেরার পথে খুন হন।

ভিন্ন ধর্ম ও মতে বিশ্বাসী, সমকামীদের অধিকার বিষয়ক আন্দোলনকারী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও এসব হুমকি ও হামলা হতে রেহাই পাননি। ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ শিয়া মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হলে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন। ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ আহমাদি মসজিদে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন আহমাদিয়া মুসলমান আহত হন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ত্রাসীরা একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করে ও একজন ভক্তকে আহত করে। ১৫ মার্চ, ২০১৬, একজন শিয়া ধর্মীয় নেতা নিহত হন। ২১ মার্চ, ২০১৬, হোসেন আলি নামে ৬৫ বছরের খৃষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধাকে মোটরসাইকেলে এসে চাপাতি দিয়ে হত্যা করা হয়। ২৩ এপ্রিল, ২০১৬ কর্মস্থলে যাবার পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৪ এপ্রিল, ২০১৬ একজন হিন্দু সাধুকে হত্যা করা হয়। ২৫ এপ্রিল, ২০১৬ সমকামিতা বিষয়ক বাংলাদেশের প্রথম ম্যাগাজিনের সম্পাদক জুলহাস মান্নান ও থিয়েটার আর্টিস্ট মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এই হামলাগুলোর কয়েকটির দায়স্বীকার করেছে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার-আল ইসলাম (আল-কায়েদার ভারত উপমহাদেশীয় নেটওয়ার্কের বাংলাদেশ শাখা) এবং বাকি হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেছে আইএস।

ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নাস্তিক ও সেক্যুলার একটিভিস্টদের উপর হামলাগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক। এই হত্যাকান্ডগুলোর বিষয়ে যথোপযুক্ত কোন আইনী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; শুধুমাত্র কিছু অভিযোগ দায়ের ও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের প্রকাশিত হিটলিস্টে থাকা নাস্তিক ও সেক্যুলাররা তাদের উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থ হলে, তাদের লেখালেখি সংযত করতে ও বিদেশ চলে যেতে বলা হয়। অনেক একটিভিস্ট তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনের (৫৭ ধারা) ভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হননি; ৫৭ ধারা অনুসারে ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে লেখাকে অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় থাকা নাস্তিক ও সেক্যুলারদের নিরাপত্তা ও সহায়তা দিতে এবং ইতোমধ্যে সংঘটিত জঙ্গি হামলাগুলোর বিষয়ে নিন্দা জানাতে সরকারি কর্মকর্তারা অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন; বরং তারা জঙ্গি হামলাগুলোর জন্য আক্রান্ত নাস্তিক ও সেক্যুলারদের লেখালেখিকেই দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন।

ব্লগার নিলয় নীল খুন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন-“কারো ধর্মানূভুতিতে আঘাত দেয়া উচিত নয়। ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া বন্ধ করতে হবে, আমরা কোনভাবেই ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া সহ্য করব না।” (২) সম্প্রতি অনলাইন এক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দীন সামাদ খুন হওয়ার পর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন-“তদন্তের স্বার্থে নাজিমুদ্দীনের ব্লগে আপত্তিজনক কিছু লিখেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।” এমন বক্তব্য পরোক্ষভাবে নাজিমউদ্দীনের হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে সহায়তা করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “ব্লগারদের লেখালেখির বিষয়ে সর্তক হওয়া প্রয়োজন। ...আমি বলতে চাই, লেখালেখির বিষয়ে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে; যাতে লেখার মাধ্যমে- কোন ধর্ম বা, কোন বিশ্বাস বা, কোন ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বের বিরুদ্ধে যাতে কোন আঘাত না আসে”। (৩) এর কিছুদিন পরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই ধরনের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন- ব্লগার হত্যার দায়িত্ব সরকার কেন নেবে? সবাইকে শালীনতা বজায় রাখতে হবে, কেউ অসভ্যতা করলে সরকার তার দায়িত্ব নেবে না“এইসব লেখালেখির মধ্যে আমি মুক্তচিন্তা দেখি না, নোংরামি দেখতে পায়। কেউ কেন এসব লিখবে? কেউ আমাদের ধর্ম ও নবীর বিরুদ্ধে লিখলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের লেখালেখির কারণে কোন ঘটনা ঘটলে তার দায়ি”। (৪)

ভিন্নমতের বিভিন্ন পেশার নিরীহ মানুষ বাংলাদেশে খুন হচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন-লেখক, প্রকাশক, বিশ্বাসী, নাস্তিক, সেক্যুলার ব্লগারসহ অনেকেই। শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশ্যে মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের চর্চা করায় প্রাণ দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় সন্তানদের। এদিকে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকতারা উগ্রবাদিদের পক্ষ অবলম্বন করেছেন, সংযত হয়ে মতপ্রকাশ করতে বলেছেন, নাগরিকদের নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে বলেছেন এবং জনগনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও খুনিদের ধরতে অক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছেন। অন্যের মতপ্রকাশের অধিকারের পক্ষে থাকার জন্যে তার মতে বিশ্বাসী হবার প্রয়োজন নেই; কেউ যদি কারো মতপ্রকাশ গ্রহণ করতে না পারে তার উত্তর সহিংসতায় নয়, পাল্টা মতপ্রকাশের মাধ্যমেই তার জবাব দিতে হয়।

মৌলিক মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ অঙ্গিকার করেছে। সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের বেঁচে থাকার স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ - ৩২), বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ - ৩৯) এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার (অনুচ্ছেদ - ৪১) প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তিতে সাক্ষরকারী দেশ; যার মাধ্যমে নাগরিকদের জীবন ধারণের অধিকার (অনুচ্ছেদ - ৬), কোন ধরনের বৈষম্যের শিকার না হওয়ার স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ - ২), চিন্তা- বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ - ১৮) এবং অভিব্যক্তির স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ - ১৯) দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে সহিংসতা ও প্রতিহিংসার ভয় ছাড়াই ধর্মীয় বিশ্বাস ধারণ করা বা না করা, ধর্মীয় বিশ্বাস পরিবর্তন বা ত্যাগ করা, এবং যেকোন বিশ্বাস, ধারণা ও মতামত সম্পর্কে মুক্তভাবে মতপ্রকাশ ও উন্মুক্ত আলোচনা করার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া আছে।

তাই, আমরা আহবান জানাচ্ছি যে-
• বাংলাদেশ সরকার যেন ধর্ম, বিশ্বাস ও মতামত প্রকাশ, ধর্মীয় ও জাতিগতভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, নাস্তিক ও সেক্যুলারসহ সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষন করে।
• বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা ধর্ম ও সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে আক্রান্তদের অধিকার যেনো অস্বীকার না করেন। এবং তারা যেন ভিন্ন মত ও ধর্মের অনুসারী, নাস্তিক ও সেক্যুলারদের উপর হামলার নিন্দা করেন এবং এ বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
• বাংলাদেশ সরকার যেন ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ হতে সংঘটিত হত্যাকান্ডগুলোর যথাযথ তদন্তের উদ্যোগ নেয় এবং জড়িতদের যথোপযুক্ত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করে।
• আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন মানবাধিকার সংকটের এই ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের সংহতি ও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.