Sylhet Today 24 PRINT

মাদ্রাসায় \'জ্বিনের\' হামলা!

সিলটটুডে ডেস্ক |  ১৭ মে, ২০১৬

লালমনিরহাট সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসা ঘর ও লাগোয়া মসজিদে গত এক মাস ধরে অদৃশ্য স্থান থেকে ইট, পাথরের টিল আসছে। এতে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও স্থানীয়দের মধ্যে 'জ্বিন' আতংক বিরাজ করছে।

হারাটি ইউনিয়নের কাজীরচওড়া গ্রামের পাঠানপাড়া নুরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং-এ ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়রা বিষয়টিকে 'জ্বিনের' ঢিল ও হামলা বলে দাবি করছে।

এদিকে কয়েকদিন ধরে অব্যাহত ঢিলের কারণে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৫ ছাত্র আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা বাড়ি চলে গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ওই মাদ্রাসায় হামলার অদ্ভুত কিছু আলামত দেখা যায়। মাদ্রাসা এবং মসজিদের ছাদে পড়ে আছে পাথর, ইট ও ইটের খোয়া। মাদ্রাসার টিনের বেড়াগুলোতে অসংখ্য ছিদ্র হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের বাল্ব ভাঙা অবস্থায় ঝুলে আছে। এছাড়াও বৈদ্যুতিক পাখা বাকা হয়ে আছে। ইট ও পাথরের ঢিলের কারণে ভেঙে গেছে মাদ্রাসার সোকেসটিও। এখন ভয়ে কেউ সেই কক্ষে প্রবেশ করছে না।

মসজিদ ও মাদ্রাসাটিকে ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, প্রথম দিকে রাতে ঢিল আসতো। গত এক সপ্তাহ থেকে দিন রাত সমানে ঢিল আসছে।

মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. এনামুল হক বলেন, সম্প্রতি মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদ ভবনটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ কারণে মসজিদের পিছনের দিকের নিজস্ব জমিতে বাশঁঝাড় কেটে দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য ফাউন্ডেশন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটি।

বাশঁঝাড়টি কেটে ফেলার পর থেকেই ইটের টুকরো ও পাথরের ঢিল আসতে থাকে। হয়তো বাঁশঝাড়ে জিনেদের অবস্থান ছিল। আর কেটে ফেলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওই মাদ্রাসার পরিচালক।

তিনি জানান, 'জিনের' হামলা রোধে স্থানীয় আলেম-ওলামা নানাভাবে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে কোন ফল মিলছে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলী খান বলেন, মসজিদ কিংবা মাদ্রাসার জমিজমা নিয়ে কারও সাথে কোনো বিরোধ নেই। অদৃশ্যভাবে ঢিল আসার পিছনে 'জ্বিনের' কারসাজি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঠান পাড়া নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিংটি  ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় ৪৫ শতক জমির উপর অবস্থিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ১৭৫ জন। এ ঘটনার পর মাদ্রসা ও মসজিদটি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এব্যাপারে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এইসএম মাহফুজার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'মসজিদ ও মাদ্রাসায় ঢিল মারার কোন ঘটনা আমার জানা নেই। এ নিয়ে থানায় কোন অভিযোগও আসেনি।'

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.