Sylhet Today 24 PRINT

দেশের সব অপরাধের সাথে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আ. লীগ জড়িত : খালেদা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৩ জুন, ২০১৬

মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জনতার হাতে আটক গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাননি দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ফাহিমকে পুলিশ হত্যা করেছে।এর সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়্যেল’স ব্যাঙ্কুইট হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

খালেদা জিয়া বলেন, ফাহিমকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা একটি সাজানো ঘটনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আইনজীবীদের মুভ করা উচিত যে, কীভাবে তিনি মারা গেলেন? রিমান্ডে নিয়ে তাকে হত্যা করা হলো হাতকড়া পরা অবস্থায়। পুলিশ তাকে হত্যা করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশে যত অপরাধ ঘটছে তার সঙ্গে সাধারণ মানুষ জড়িত নয়। এর সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ জড়িত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দেশের ব্যাংকগুলো লুটপাট হয়ে গেছে। এর আগে কখনও শুনিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক লুটপাট হতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লুটপাটের প্রধান; লুটপাটের রানী।

গণগ্রেফতারের নামে বিএনপি ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চলছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপির কেউ পুলিশের ভয়ে নিজের ঘরে ভালো করে সেহরী পর্যন্ত করতে পারে না। ঈদের আগে তাদের (পুলিশ) ব্যবসা চলছে। সবই পাচ্ছে তারা। দুইদিক থেকেই পাচ্ছে। সরকার থেকেও দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে বাণিজ্য করে ব্যাপক উপার্জন করছে।
অারও পড়তে পারেন: অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন বাবলু

খালেদা জিয়া বলেন, ‘যত সময় যাচ্ছে দেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই সরকার দেশের মানুষের ওপর একের পর এক জুলম করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। যেভাবে লুটপাট শুরু হয়েছে, সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, তাতে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে।
সরকার বিচার বিভাগকে ‘দলীয়করণ’ করে শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘এখন সকলের জন্য সমান বিচার নয়। এখানে আওয়ামী লীগের জন্য এক রকম আর বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের জন্য আরেক রকম বিচার। অপরাধী আওয়ামী লীগার হলে পুলিশ ছেড়ে দেয়। আর বিএনপি নেতাকর্মী কিছু না করলেও তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়।

ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বা কিছু পাওয়ার আশায় নয়,দেশকে বাঁচাতে এবং মানুষকে বিপদ থেকের রক্ষা করতে বিএনপি আন্দোলন করছে বলে জানান খালেদা জিয়া।

লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান,এমদাদুল হক চৌধুরী,অ্যাডভোকেট আমিনুল ইমলাম রাজু, আলাহ উদ্দিন আলিম, মাহবুবুর রহমান খালেক, যুগ্ম মহাসচিব উম্মে হাবিবা রহমান, নুরুল ইসলাম পিয়াস, সামসুদ্দিন পারভেজ, হিন্দু রত্ন রাম কৃষ্ণ শাহা, অধ্যাপক মহসিন ভূইয়া, শামিমা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রাজু,আহসান হাবিব ইমরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন,আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন, আনোয়ার হোসেন মানিক, মো. ওয়াসিম, খন্দকার মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আব্দুল মান্নান, রুহুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, সহদপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সেলিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম , জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম চৌধুরী,  খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াস সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, পিপলস পার্টি মহাসচিব গরীবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হানিফুল কবির, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপা-উপচার্য আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, সাবেক সংসদ সদস্য গফুর ভূইয়া, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন প্রমুখ যোগ দেন ইফতার মাহফিলে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.