Sylhet Today 24 PRINT

একটি ক্যামেরার জন্যে সরকারি সফরে জার্মানি যাচ্ছেন ৩ কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক |  ২১ জুলাই, ২০১৬

একটি ডিজিটাল ক্যামেরা আর সেই ক্যামেরার কিছু যন্ত্রপাতির প্রি-শিপমেন্ট অবস্থা পর্যবেক্ষণে জার্মানি যাচ্ছেন তথ্য মন্ত্রণালয় ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পদস্থ তিন কর্মকর্তা। এ ক্যামেরার দাম ৩৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। তবে যারা জার্মানি যাচ্ছেন তাদের কেউ ক্যামেরা বিষয়ক এক্সপার্ট নন বলেও জানা গেছে।

এক ক্যামেরা আনতে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন যারা তারা হলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নূরুল ইসলাম ও অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শিপলু জামান।

এ প্রসঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নিলুফার নাজনীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানীতব্য একসেট ডিজিটাল ক্যামেরা ও সরঞ্জামাদির প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশনের জন্য তারা জার্মানিতে যাচ্ছেন। চিঠির তথ্য অনুযায়ী তাদের ব্যয় ভার আয়োজক সংস্থা (যাদের কাছ থেকে ক্যামেরা নেয়া হচ্ছে) তারাই বহন করবে এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ নেই।

নিলুফার নাজনীনের এ বিষয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদনের পর তারা শুধু ভ্রমণের আদেশ সম্পর্কিত চিঠি ইস্যু করে থাকেন।

কেন একটি ক্যামেরা আনতে তিনজন কর্মকর্তাকে জার্মানি যেতে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বা ডিএফপির মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান বলেন, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে শিপমেন্টের আগে তাদের তাতে স্বাক্ষর করতে হবে।

তিনি বলেন, “ডিএফপি এনালগ থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে। তার অংশ হিসেবেই ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফি আনা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম কাভারেজের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা প্রয়োজন। যাতে হাই পাওয়ার লেন্স সহ আরও অনেক আধুনিক উপকরণ থাকবে”।

তিনি জানান, ক্যামেরার মূল অংশের দাম পড়েছে ৩৫ হাজার ইউরো (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা) যেটি অনুমোদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের প্রতিনিধি ছিল।

এখন তারা সেটির শিপমেন্টের আগে নিশ্চিত হবে যে সঠিক জিনিস দেয়া হচ্ছে কি-না এবং ডিএফপির ডিজিটাইজেশনে নতুন প্রকল্পের জন্যও ধারণা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।

"তারা কি প্যাকেট করছে এবং ঠিকমতো দিচ্ছে কি-না সেটাও তো দেখার বিষয় আছে"।

একটি ক্যামেরার জন্য তিনজন কর্মকর্তার যারা ক্যামেরা বিষয়ক এক্সপার্টও নন তাদের জার্মানি সফর কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএফপি মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশে ওই ধরনের এক্সপার্ট নেই। বরং দু’বছর কাজ করে আমাদের ধারণা সম্পর্কে আমরা আত্মবিশ্বাসী”।

“লাইটিং, পোস্ট এডিটিং সহ নানা বিষয়ে আমরা ধারণা নেবো এই সফরে। আগের বছর দুজনকে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তাদের রিপোর্ট আমাকে সন্তুষ্ট করেনি। তাই ভাবলাম এবার নিজেরাই যাবো”।

এ বিষয়ে তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের কার্যক্রম রয়েছে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তারাই মূলত এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন”।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.