সিলেটটুডে ডেস্ক | ২৫ জুলাই, ২০১৬
ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় সোমবার সকাল থেকে আবারো লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিস্তা নদীর পানি দোয়ানী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি প্রচণ্ড গতিতে বাংলাদেশের দিকে আসছে।
এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরো চরম অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার ছোট-বড় অন্য নদীগুলোর পানিও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলার ৫টি উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। বন্যাদুর্গত এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে। পানিবন্দি এলাকার মানুষজন সরকারি রাস্তা-ঘাটে আশ্রয় নিলেও তারা অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের গেটবন্ধ করা না হলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়ায় পানি চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।