Sylhet Today 24 PRINT

কানাডা থেকে ফিরে সেনার চাকরি ছাড়েন ‘জঙ্গি’ জাহিদ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে নিহত ‘জঙ্গি’ মেজর জাহিদুল ইসলাম ২০১৪ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় প্রশিক্ষণের জন্য কানাডা যান। ছয় মাস প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে কিছুদিনের মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে রূপনগরে পুলিশের অভিযানের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহত মেজর মুরাদ (আসলে মেজর জাহিদ হবে) জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলাকারীদেরও প্রশিক্ষক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি গুলশান হামলার ‘হোতা’ নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত তামিম আহমেদ চৌধুরীর ‘ডান হাত’ ছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তামিম চৌধুরী কানাডার নাগরিক ছিলেন।

নিহত মেজর জাহিদের বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের পশ্চিম চান্দপুরে। তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। ওই এলাকায় ড্রিম হাউস নামে তাঁদের একটি বাড়ি আছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ জানান, সাত মাস আগে জাহিদ কুমিল্লার ওই বাড়িতে এসেছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় প্রশিক্ষণের জন্য কানাডায় যান। ছয় মাস প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে কিছুদিনের মধ্যেই সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন। ঢাকার উত্তরায় থাকতেন। সর্বশেষ তিন মাস আগে তাঁর শ্বশুর কুমিল্লার শৈলরানী দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুল মমিন ও বাবা নূরুল ইসলামের মুঠোফোনে খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানান, তিনি স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা ও দুই মেয়েকে নিয়ে বিদেশ চলে যাচ্ছেন। তার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি। গত শুক্রবার টেলিভিশনে সংবাদ দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন মুরাদই মেজর জাহিদ।

পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইউনুস মিয়া বলেন, ‘নুরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হলে সম্মান করি, সালাম দেই। কিন্তু ওনার ছেলে যে জেএমবি তা তো জানতাম না।’ তিনি বলেন, ‘এ এলাকায় জঙ্গিবাদ স্থান পাবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের লোকের সন্ধান পেলে অবশ্যই আমরা প্রশাসনকে জানাব।’

পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, এলাকার লোকজন জাহিদদের সম্পর্কে বেশি জানে না। এরা পরে এখানে আসে। এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা এরা ছিল না। এদের আদিনিবাস সিলেটে। আরো অনুসন্ধান করছি। পরে আরো জানানো হবে। সূত্র: এনটিভি অনলাইন

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.