Sylhet Today 24 PRINT

‘নিজের প্রেসেই জাল নোট ছাপেন ব্যাংক কর্মকর্তা রশিদ’

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

দুর্নীতির দায়ে চাকরীচ্যুত হওয়ার পর প্রেসের ব্যবসা শুরু করেন আব্দুর রশিদ। সে সময় ভারতীয় জাল নোট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে নিজের প্রেসেই জাল নোটে জাল ছাপ বসানো শুরু করেন আব্দুর রশিদ। বুধবার রাতে রাজধানীর বনশ্রী ও জুরাইন থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের বেশি জাল নোটসহ ৫ জনকে আটক করেন র‍্যাব-১ সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আব্দুর রশিদ (৬৫) অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। ব্যাংকটির জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। আটক অপর চারজন হলেন- ফাতেমা বেগম (২৫), রুবিনা বেগম (২৪), মো. দুলাল (৩০) ও মো. সারোয়ার হোসেন (২৩)। মূলত আব্দুর রশিদের পরিকল্পনাতেই তার নিজস্ব ছাপাখানায় তৈরি হতো জাল টাকা। বনশ্রীতে তার বাসায় টাকা তৈরির টাকশাল খুঁজে পায় র‍্যাব-১।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র‍্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, প্রতি বছরই ঈদের সময় কোরবানির পশুর হাটকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠে জাল টাকা কারবারি চক্র। চক্রগুলো জাল টাকা তৈরি করে নির্দিষ্ট সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে ছাড়ে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে বুধবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থানাধীন দক্ষিণ বনশ্রীর রোড নং ১০/৪ বাসা নং এফ/৭৭ অভিযান চালিয়ে ফাতেমা ও রুবিনাকে আটক করা হয়। সেখান থেকে ৭৮ লাখ জাল টাকার ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট জব্দ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের আটক করা হয় জুরাইন থেকে।

অগ্রণী ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার পদে চাকরি করতেন আব্দুর রশিদ। ১৯৯৫-৯৬ সালে দুর্নীতির দায়ে চাকরীচ্যুত হওয়ার পর তিনি প্রেসের ব্যবসা শুরু করেন। সে সময় ভারতীয় জাল নোট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয়। তার মাধ্যমে নিজের প্রেসেই জাল নোটে জাল ছাপ বসানো শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি প্রেস বিক্রি করে নিজের বাসায় জাল নোট তৈরি শুরু করেন। এজন্য ভারতীয় জাল নোট কারবারি নুরুজ্জামান সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছিলেন বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তারা।

র‍্যাব-১ সিও বলেন, আব্দুর রশিদ গত ১৪/১৫ বছর ধরে জাল নোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাত্র একবার। তবে জামিনে বেড়িয়ে তিনি আবারো একই পেশায় জড়িয়ে পড়েন। নুরুজ্জামানের মাধ্যমে জাল টাকার কাগজ ও মিহি নিরাপত্তা সুতা আমদানি করেন। এরপর নিজের চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে জল ছাপ দেন।

তিনি বলেন, আসল টাকার সঙ্গে এ জাল টাকার তফাৎ খুবই কম। দেখে বোঝা খুব কঠিন আসল না নকল। নিরাপত্তা সুতাও আছে, রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবির জল ছাপও। টাকার পাশে লেখাগুলো অমসৃণ হলেও তা তারা দিতে পেরেছে। আটকদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাল টাকা প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী সিণ্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.