Sylhet Today 24 PRINT

চীনের অর্থায়নে চার লেন হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, আজ চুক্তি স্বাক্ষর

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৮ অক্টোবর, ২০১৬

চীন সরকারের অর্থায়নে চার লেনে উন্নীত করা হবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রোববার ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ চুক্তি স্বাক্ষর করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

আর ১৪ অক্টোবর চীনের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে অর্থ নিশ্চয়তার চূড়ান্ত চু্ক্তি স্বাক্ষর করা হবে। এরপর কাজ শুরু হলে আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যেই শেষ হবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চারলেনের কাজ।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, সম্ভাব্যতা যাচাই এবং নকশা তৈরি শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন চীনা যে কোম্পানি এই কাজটি করবে তার সঙ্গে চুক্তি হবে।

সওজের ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্প সূত্র জানায়, ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে চারলেনে উন্নীত করা হবে। এই চারলেনের দুইপাশে আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। যেখানে ‘স্লোমুভিং’ যানবাহন চলাচল করবে।  চার লেনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। চীন এ অর্থ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বাংলাদেশকে।

২২০ কিলোমিটার এই সড়কে চার লেন প্রকল্পের মধ্যে ছোট আকারের ৬০টি সেতু, চারটি ফ্লাইওভার ও ২৭টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট চারলেন করতে হবে। সে কারণে এডিবির পরিবর্তে এ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ করবে চীন। চীন ২০১৮ সালের চারলেন করে দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।

১৪ অক্টোবর চীনের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে অর্থায়নের নিশ্চয়তার চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।

প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন কাজে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যা ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের প্রায় ৩ গুণ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের আড়াই গুণেরও বেশি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার দাবি বেশ পুরোনো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী অঙ্গীকারে এটা বলেছিলেন। তবে কাজটি শুরু হতে দেরি হয় অর্থায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে। এডিবি না চীন সরকার এর অর্থায়ন করবে এ নিয়ে কয়েক দফা সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কয়েক দফা চিঠি চালাচালি করে। শুরুর দিকে চীন আগ্রহ দেখালেও ইআরডি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলো। শেষে চীনকে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করেন তারা। শেষ পযন্ত চীন সরকারই জি টু জি ভিত্তিতে এ কাজ করতে রাজি হয়।
 
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন শুরু হলে মাত্র ৩ বছর পরই চার লেন হয়ে যাবে মহাসড়কটি। তখন পর্যটন ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে সিলেটের। বাড়বে জিডিপিও।

সূত্র : বাংলানিউজ

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.