Sylhet Today 24 PRINT

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জনই র‍্যাবের

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার রায়

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাব কমকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৬ আসামির মধ্যে ১৬ জনই র‌্যাব-১১- এর সদস্য ছিলেন। মামলার বাকি নয় আসামিকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, র‍্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবীর।

আর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড পেয়েছেন র‍্যাব-১১-এর নয়জন হলেন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ (অপহরণের দায়ে ১০ বছর),এএসআই বজলুর রহমান (সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে ৭ বছর), এএসআই কামাল হোসেন (অপহরণের দায়ে ১০ বছর),কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), কর্পোরাল রুহুল আমিন (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে ৭ বছর), কনস্টেবল বাবুল হাসান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর), কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর, সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে ৭ বছর)ও সৈনিক নুরুজ্জামান (অপহরণের দায়ে ১০ বছর)।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্যরা হলেন, প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তার সহযোগী মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আলী মোহাম্মদ, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল), সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন। এদের মধ্যে সেলিম, সানাউল্লাহ ও শাহজাহান পলাতক রয়েছেন।

বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতকরা হলেন, কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান হাবিব ও নূর হোসেনের সহযোগী ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে উঠে ছয়টি লাশ। পরদিন পাওয়া যায় আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.