Sylhet Today 24 PRINT

ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ৩০ মে, ২০১৭

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় 'মোরা' বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার সমুদ্রবন্দরসহ কয়েকটি উপকূলীয় জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কমাতে সম্ভাব্য আক্রান্ত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া শুরু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে করণীয়
১. কর্তৃপক্ষ সংকেত দেয়ার পর সরে যেতে বললে দেরি না করে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া উচিত।

২. মাছধরা নৌকা ও ট্রলার এবং মালবাহী লঞ্চের মাঝিমাল্লা ও মালিকদের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরতদের উচিত নিয়মিত ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক বার্তা জেনে নেয়া।

৩. সতর্ক বার্তা মেনে সাগর ও নদীতে অবস্থানরত সব মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকা।

৪. ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন সম্ভাব্য এলাকা স্বাভাবিকের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বসে প্লাবিত হয়। সুতরাং নিচু এলাকায় পাকা দালানে থেকেও বিপদ হতে পারে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া উচিত।

৫. উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের আগে পাঠাতে হবে।

৬. আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় টর্চ লাইট, দেশলাইসহ মোমবাতি, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে নেয়া।

৭. ঘূর্ণিঝড়ের 'চোখ' বা কেন্দ্র উপকূলীয় এলাকা দিয়ে অতিক্রমের সময় কিছুটা সময় সব শান্ত হয়ে আসে। তখন ঝড় শেষ ভেবে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া যাবে না। কারণ, 'চোখ' পেরিয়ে গেলে আবারও আগের শক্তি নিয়ে তাণ্ডব চালায় ঝড়। তাই ঝড় সরে যাওয়ার বা থেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ না করা।

৮. ঘূর্ণিঝড় প্রচুর বৃষ্টি ঝরায়। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হতে পারে ভূমিধস, সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল। এ কারণে পাহাড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.