Sylhet Today 24 PRINT

পুুলিশের দুই সদস্য 'বাড়াবাড়ি' করেছে, ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১১ জুন, ২০১৫

বর্ষবরণে ঢাবি ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও ছয় দফা দাবিতে 'ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের' কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের নির্বিচার লাঠিপেটা ও অপেশাদার আচরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

ওই ঘটনায় পুুলিশের দুই সদস্য 'বাড়াবাড়ি' করেছেন বলে তদন্তে উঠে আসে। তারা হলেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ তাজউদ্দিন ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের নায়েক আনিসুর রহমান। দু'জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কনস্টেবল পদমর্যাদার আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেননি বলেও বলা হয়েছে। পুলিশেরদায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এসব তথ্য জানায়।

গত ১০ মে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচিতে পুলিশের নির্বিচার লাঠিপেটার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী ইসমত জাহান জোর চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া ও লাথি মারেন পুলিশ সদস্যরা। এই দৃশ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর খোদ তোলপাড় শুরু হয় পুলিশের ভেতরেও।

এর পর ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিক, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমানকে সভাপতি করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ডিবির তৎকালীন ডিসি (দক্ষিণ) ও বর্তমানে যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম কৃষ্ণপদ রায় এবং অতিরিক্ত উপকমিশনার আসমা সিদ্দিকা মিলি। কমিটি সব পক্ষের বক্তব্য নিয়ে গত সপ্তাহে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশের দুই সদস্য এসআই শেখ তাজউদ্দিন ও নায়েক আনিসুর রহমান অপেশাদার আচরণ করেন। ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী ইসমতকে চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দেন নায়েক আনিসুর রহমান। আর তাকে লাথি মারেন তাজউদ্দিন। ঘটনার পরপরই ভিডিও ফুটেজ দেখে আনিসুরকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও ইসমতকে যে পুলিশ সদস্য লাথি মারেন, তাকে কোনোভাবেই চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। পরে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ ও শারীরিক অবয়ব দেখে তাজউদ্দিনকে সন্দেহ করা হয়। পরে তদন্ত কমিটি জানতে পারে, ঘটনার দিন এসআই তাজউদ্দিনের ডিউটি দোয়েল চত্বরে থাকলেও ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকলে পেছনে পেছনে যান তাজউদ্দিন। এর পর ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের অদূরে অবস্থান করা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাজউদ্দিন তাকে লাথি মারেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসআই তাজউদ্দিন কমিশনারের কার্যালয়ের অদূরে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কাউকে লাথি মারার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি অস্বীকার করলেও ভিডিও ফুটেজে ওই চিত্রই পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের সঙ্গে চার-পাঁচজন এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। হেলমেট, শারীরিক অবয়ব ও সহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়।

এ ব্যাপারে এসআই শেখ তাজউদ্দিন বলেন, 'ওই দিন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তার দায়িত্ব ছিল অন্য এলাকায়।'

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.