স্বজনরা মরদেহ চিহ্নিত করার পর দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেপালে পৌঁছান বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের ৪৬ স্বজন। কাঠমান্ডুতে পৌঁছার পর স্বজনদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ দূতাবাসে। সেখান থেকে তাদেরকে দূতাবাসের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে আপনজনদের পাশে।  

কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, আহতদেরকে সেখানকার তিনটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। মরদেহগুলো স্বজনরা চিহ্নিত করার পর দেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে,মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। ইউএস বাংলার এয়ারলাইন্সের ৭ জন প্রতিনিধিও এই ফ্লাইটে ছিলেন।

গতকাল সোমবার হতাহতদের প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে নেপালে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।  

সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে যাত্রা করা ইউএস-বাংলার ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফটটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে তা রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থলেই ৪০ জন নিহত হন। পৃথক দুই হাসপাতালে ১০ জন মারা যান।

বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩২ জন, নেপালের ৩৩ জন, চীনের একজন ও মালদ্বীপের একজন যাত্রী ছিলেন বলে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।