১৭ বাংলাদেশিসহ ২৮ জনের মরদেহ শনাক্ত

নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৮ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত হওয়া মরদেহ গুলো মধ্যে ১৭ জন বাংলাদেশি, ১ জন চীনের ও ১০ জন নেপালের নাগরিক।

শনিবার (১৭ মার্চ) বিকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নেপালে সফররত বাংলাদেশ থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্য ও ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।

১৭ বাংলাদেশির মধ্যে রয়েছেন- অনিরুদ্ধ জামান, তাহিরা তানভীন শশী, মিনহাজ বিন নাসির, রাকিবুল হাসান, মতিউর রহমান, রফিক উজ জামান, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, আকতার বেগম, হাসান ইমাম, এসএম মাহমুদুর রহমান, বিলকিস আরা, আহমেদ ফয়সাল, নুরুজ্জামান, সানজিদা হক, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ ও কেবিন ক্রু খাজা সাইফুল্লাহ।

ব্রিফিংয়ে ডা. সোহেল বলেন, শনাক্ত হওয়া ২৮ জনের মধ্যে চীন ও নেপালের নাগরিকদের মরদেহ হস্তান্তরের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের মরদেহ দেখানো হবে নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের। সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন তিনি।

ডা. সোহেল নিহত স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, যাদের নাম আসেনি তাদের ডিএনএ পরীক্ষা চলছে আগামীকালের (রোববার) মধ্যে যাদের শনাক্ত করা যাবে আমরা তাদের নাম জানিয়ে দেব। এছাড়া যাদের শনাক্ত করা যাবে না যাদের স্বজন এখানে (নেপাল) নেই, তাদের ডিএনএ দেশে নিয়ে যাব। সেখানে প্রোফাইলিং করব। আর যাদের এখানে (নেপাল) স্বজন আছে, দেশে ফিরে ডিএনএ দিয়ে যাবেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৬ জন ও নেপালের ২২ জন। এছাড়া চীনের একজন যাত্রী নিহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, ১২ জন নেপালের ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক।