Sylhet Today 24 PRINT

‘মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলায় বিএনপি-জামায়াত’

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৫ জুলাই, ২০১৮

বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার। এ হামলার জন্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামিকে দায়ি করেছে এ ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বলেছেন, দোষী বের হয়ে এলে বোঝা যাবে আসলে এর সঙ্গে কারা জড়িত।

মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে দুপুর ১২টায় জেলা ছাত্রলীগ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইয়াসির আরাফাত এসব কথা বলেন।

ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বলেছি, আপনারা খুঁজে বের করেন কে দোষী। আমরা তো এই ন্যক্কারজনক ঘটনা চাই না। আমরা চাই সুষ্ঠু বিচার হোক। কারা হামলা করেছে, দোষী বের হয়ে আসুক। দোষী বের হয়ে এলে বোঝা যাবে, কারা এর সাথে জড়িত।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইয়াসির আরাফাত। সঙ্গে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদ।

গত রোববার বিকেলে মানহানির মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ায় গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। আদালত চত্বরে তার ওপর তিন দফায় এ হামলা হয়। ইট, পাথর ও লাঠির আঘাতে তার গাল, কপাল ও মাথার পেছনে কেটে যায়। পরে যশোর থেকে বিমানে করে ঢাকায় এনে তাকে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাহমুদুর রহমানের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে তার ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।

ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘এটা যে জামায়াত-বিএনপি ঘটিয়েছে, প্রশাসন একটু খোঁজ করলেই বুঝতে পারবে, আপনারাও (সাংবাদিক) টের পাবেন।’ আবার আরেকবার বলেন, তার (মাহমুদুর) ওপর সাধারণ আমজনতা ও দুর্বৃত্তরা আঘাত করেছে।

হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেখানে (হামলার সময়) ছাত্রলীগের কেউ ছিল না। জেনেছি, সেখানে মুখোশ পরা ছিল অনেকে। আসলে ছাত্রলীগ কখনো মুখোশ পরে হামলা করে না, এটা হামলা করে কারা আপনারা অতীতে দেখেছেন, জঙ্গিরা চেহারা গোপন করে মুখোশ পরে হামলা করে। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা করার জন্য এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য জামায়াত-বিএনপি এটা করার চেষ্টা করতে পারে।’

লিখিত বক্তব্যে ইয়াসির আরাফাত উল্লেখ করেন, তিনি নিজে মামলার বাদী। তাই আদালতে গিয়েছিলেন। বেলা তিনটার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়। ছাত্রলীগ আদালত চত্বরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ছিল। তার (মাহমুদুর) ওপর সাধারণ আমজনতা ও দুর্বৃত্তরা আঘাত করেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে একটা মতবিরোধ আছে। ধারণা করছি, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর মধ্যেই এই গ্যাঞ্জামটা হয়েছে। বিএনপির কোনো দুষ্কৃতকারী এটা করেছে। এবং সামনে নির্বাচন সেটা আমাদের ওপর দায়ভার দিতে চাইছে।’

সাদ আরও বলেন, ‘যারা দুর্বৃত্তায়ন করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, মাহমুদুর রহমান একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি আমাদের দলের একজন উপদেষ্টা। আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধিতা নেই। বরং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.