সিলেটটুডে ডেস্ক | ১৭ জুলাই, ২০১৫
বাংলাদেশের ভিতরে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলে যৌথ জরিপ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ছিটমহলগুলোতে ৩৭ হাজারের বেশি বসবাসকারীর মধ্যে নয়শ জনের মতো ভারতে চলে যাওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। শেষমুহুর্তে অনেকে তাদের আবেদন পরিবর্তন করছেন বলেও কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন।
চার দশকেরও বেশি সময় পর ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন করায় এখন ছিটমহল বিনিময়ের অংশ হিসেবে এই জরিপ করা হয়। বাংলাদেশে ভূখন্ডে ভারতীয় ছিটমহলগুলোতে ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ৩৭হাজারের কিছু বেশি। এবার জরিপে জন্ম এবং বৈবাহিকসূত্রে জনসংখ্যা পাঁচ হাজারের মতো বাড়তে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশ এখন যৌথভাবে দশদিন ধরে যে জরিপ চালিয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ছিটমহলের মানুষ কোন দেশের সাথে থাকতে চান, সেটা চিহ্নিত করা।
এই জরিপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক জাহিদুল হক সর্দার। তিনি জানিয়েছেন, এই জরিপে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত নয়শ জনের কিছু বেশি মানুষ ভারতে যাওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। জরিপের শেষ দু’দিনে অনেকে আবার মত পরিবর্তন করে বাংলাদেশের সাথে থাকারও আবেদন করেছেন।
জরিপের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান পেতে আরও দু’একদিন সময় প্রয়োজন। বাংলাদেশের উত্তরের চারটি জেলায় ভারতীয় ১১১টি ছিটমহল পড়েছে, যেগুলো বাংলাদেশ পাচ্ছে।
এগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রামে দাশিয়াছড়া সবচেয়ে বড় ছিটমহল। সেখানকার বাসিন্দাদের একজন নেতা নজরুল ইসলাম বলেছেন, ছিটমহলের বাসিন্দাদের অনেকে দিল্লিতে কাজ করেন, তারাই মূলত ভারতে যাওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার দেলাওয়ার বখত জানিয়েছেন, যারা ভারতে যাওয়ার সুযোগ চেয়েছেন, তারা ১লা অগাষ্ট থেকে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত সেই সুযোগ বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন। তাদের পাসপোর্ট দরকার হবে না। তারা সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসন থেকে ট্রাভেলকার্ড পাবেন এবং সেটা নিয়ে ভারতে চলে যেতে পারবেন।
এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যারা বংলাদেশেই থাকছেন, তারা ৩১শে জুলাই ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্বসহ সব সুযোগ পাবেন। এই বিনিময় প্রক্রিয়া নিয়ে ২৩শে জুলাই ঢাকায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসি বাংলা।