সিলেটটুডে ডেস্ক | ১২ জানুয়ারী, ২০১৯
মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পড়ানোর আহ্বানকে ‘হেফাজত আমীরের’ ব্যক্তিগত অভিমত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘এই বক্তব্য একান্তই ‘হেফাজত আমীরের’ ব্যক্তিগত অভিমত। এই বক্তব্য রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
শনিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর চশমাহিলের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার ১১৮ তম বার্ষিক মাহফিলে মাদ্রাসার পরিচালক শফী’র দেওয়া একটি বক্তব্য ও ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়, মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে না দিতে এবং দিলেও সর্বোচ্চ ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়ানোর জন্য ওয়াদা নিয়েছেন আহমদ শফী। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা শুরু হয়।
হেফাজতে আমীরের নাম উল্লেখ না করে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘যিনি এই মন্তব্যটা করেছেন, তিনি তার ব্যক্তিগত অভিমত দিয়েছেন। বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনা অথবা শিক্ষা খাতে কোনো নির্বাহী দায়িত্বে তিনি নেই। যেহেতু তিনি কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অবস্থানে নেই, তিনি অভিমত দিলেই সেটা রাষ্ট্রীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত বা প্রতিফলিত হবে, এমন চিন্তা করবার অবকাশ নেই। সমাজে এরকম অনেকেই অনেক ধরনের অভিমত দেন।’
নওফেল বলেন, দেশের যে কোনো নাগরিকেরই বাক স্বাধীনতা আছে। তার মনের ভাবনা প্রকাশ করার অধিকার আছে। তবে আমি সম্মানের সাথে বলব, আমরা সকলেই যারা বাক স্বাধীনতার চর্চা করছি, আমরা যেন এই বিষয়টা মাথায় রাখি যে- সংবিধান অনুসারে আমাদের সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা যেন বৈষম্যমূলক মন্তব্য না করি।’
মতবিনিময় সভায় নওফেলের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমউদ্দিন শ্যামল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, স্বাচিপ নেতা ডা.শেখ শফিউল আজমসহ নেতাকর্মীরা ছিলেন
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসন থেকে তিনি এবার প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।