Sylhet Today 24 PRINT

কর্ণফুলী নদী মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

আদালতের নির্দেশ পাওয়ার দুই বছর পর কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বসা আড়াই হাজার সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় সদরঘাট লাইটারেজ জেটি ঘাট এলাকায় পতেঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।

শুরুতেই জেটি ঘাটে নদী সংলগ্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর জানান, পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে শুরু করে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা তিনটি জোনে ভাগ করে এ অভিযান চলবে। প্রথম ভাগে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। পরে পতেঙ্গা ও চাক্তাই এলাকায় উচ্ছেদ শুরু হবে।

পে লোডার, এক্সক্যাভেটর ও ট্রাক নিয়ে ১০০ জন শ্রমিক নদী তীরের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙার কাজ করছেন।

অভিযানে উপস্থিত আছেন বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য ছাড়াও সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস সার্ভিস ও কর্ণফুলী গ্যাসের প্রতিনিধিরা।

প্রথম দফার অভিযানে দুইশ মতো স্থাপনা উচ্ছেদ হলে ১০ একরের মতো জায়গা উদ্ধার হবে জানিয়ে সহকারী কমিশনার তাহমিলুর বলেন, 'উচ্ছেদ কাজে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতা করছে। অভিযান শুরুর আগেই অনেকে তাদের স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো দিক থেকে কোনো বাধা আসেনি।'

নদী তীরের উদ্ধার করা জমিতে সীমানা পিলার দিয়ে বনায়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে করা রিট আবেদনে হাই কোর্টের এক আদেশে নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরণের স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। সেইসাথে স্থানীয় প্রশাসনকে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলে আদালত।

আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। সে সময় যে অবৈধ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেগুলোই এখন উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি সমন্বয় সভার পর সোমবার থেকে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, কোতোয়ালি, বাকলিয়া, চান্দগাঁও মৌজার ৩৬৮ এবং পূর্ব পতেঙ্গা মৌজার ১৭৪৪টিসহ ২১১২টি স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আলোচনা হয় সেদিনের সভায়।

অভিযানে নামার আগে শনিবার বিকালে নগরীর সদরঘাট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, কর্ণফুলীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কর্ণফুলী আমাদের চট্টগ্রামের সম্পদ। যেভাবে হোক দলমত সবার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের এটিকে রক্ষা করতে হবে। কারণ কর্ণফুলী নদী বাঁচলেই চট্টগ্রাম বাঁচবে। না হলে কিছুই করার নেই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.