Sylhet Today 24 PRINT

অভিজিৎ হত্যা মামলা সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৫ মার্চ, ২০১৯

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলা বিচারের জন্য সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে চার্জশিটটি উপস্থাপন করলে বিচারক দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষর করে বদলির জন্য এ আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তা সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

১২ মার্চ বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (পরিদর্শক) মো. মনিরুল ইসলাম ৬ জনকে অভিযুক্ত ও ১৫ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে ঢাকা সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ১৩ মার্চ বিচারক সারাফুজ্জামান আনছারী চার্জশিটটি স্বাক্ষর করেন।

এদিকে মামলার চার্জশিটে অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম- শাহরিয়ার), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (সাংগঠনিক নাম- সাকিব, সাজিদ, শাহাব), মো. আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম- সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ) (২৪) ও হত্যাকাণ্ডে উসকানি বা প্ররোচনাদানকারী শাফিউর রহমান ফারাবী (২৯), সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) তার সাংগঠনিক নাম- সাগর, বড় ভাই (৪২) ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩০)। এদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ, মাইনুল হাসান শামীম, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মকুল রানা, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।

এদের মধ্যে আসামি সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ ও মাইনুল হাসান শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। মকুল রানা খিলগাঁও এলাকায় বন্ধুকযুদ্ধে মারা যান। অপর পাঁচ আসামি সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তুর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ওই ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.