Sylhet Today 24 PRINT

সোনালী ব্যাংকের জিএমসহ ১২ জনের নামে দুদকের চার্জশিট

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৫ মার্চ, ২০১৯

প্রায় ৩৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম), উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ (ডিজিএম) ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৫ মার্চ) সেগুন বাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কালিয়াকৈর (গাজীপুর) থানায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।

তখন মামলার আসামি ছিলেন, মেসার্স ফেয়ার কেমিক্যালস (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফাতেমা ইসলাম, লালবাগের মো. বাকের হোসেন, মো. জামির হোসেন, মোছা. জরিনা আক্তার, মো. ওমর ফারুক।

দুদকের পক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (প্রধান কার্যালয়ের) সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান, সহকারী পরিচালক ও মো. ইকবাল হোসেন।

অধিকতর তদন্তে আসা আসামিরা হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল অফিসের সাবেক জিএম ও শাখা ব্যবস্থাপক (অব.) মো. শওকত আলী, একই শাখার ডিজিএম (অব.) আবদুল কাদির খান, একই শাখার সাবেক গোডাউন কিপার কাম ক্লার্ক, বর্তমানে অফিসার কৃষিভিত্তিক প্রকল্প অর্থায়ন বিভাগের আবদুল মতিন, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাবেক গোডাউন চৌকিদার, মেসার্স ফেয়ার কেমিক্যালস (প্রা.) লিমিটেডের বর্তমানে সাপোর্টিং সাব স্টাফ মো. সরওয়ার্দি, গাজীপুরের কালিয়াকৈর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. সানোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈরের মো. আ. ওহাব।

তদন্তে দেখা গেছে, আসামিরা সোনালী ব্যাংক থেকে ৩৭ কোটি ২২ লাখ ৩ হাজার ৯৬৮ টাকা (সুদাসলে) এবং ব্যাংকের কাছে বন্ধককৃত জমি বিক্রি করে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা (মোট ৩৮ লাখ ৭২ লাখ ৩ হাজার ৯৬৮ টাকা) ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ঋণ নেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, শীঘ্রই তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন আদালতে এ মামলার চার্জশিট জমা দেবেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.