Sylhet Today 24 PRINT

বাংলাদেশে ফণী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৪ মে, ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছিল বলে অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়।

তবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে এখন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখন ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারের মতো, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এরপর বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে এটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঢোকার পর ফণী আরও উত্তরে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে ওই এলাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে এবং বইছে ঝড়ো হাওয়া।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ ঝড়টি দুর্বল হওয়ার দিকটি দেখিয়ে সকাল ১০টায় সাংবাদিকদের বলেন, আশঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে। ঝড়টি মধ্যাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, ওই সব জায়গায় বজ্রবৃষ্টি, ভারি বর্ষণ হবে।

রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহের পাশাপাশি সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টিপাতের আভাস দেন শামসুদ্দিন।

ফণীর প্রভাবে উপকূলে জোয়ারের পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বইছে। শনিবার ভোররাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, নিহত হয়েছে একটি শিশু।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবাধীন এলাকার ১২ লাখ মানুষকে ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝড় মোকাবেলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে সরকার।

যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা এবং ঝড়ে কেটে যাওয়ার পর নিজ নিজ আবাসে নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.