নিউজ ডেস্ক | ২১ আগস্ট, ২০১৫
আবারো কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হলেন আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সংগে জড়িত এক ব্যাক্তি। গাজীপুরের দক্ষিণ সালনায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলার আসামি সাইদুর রহমান (৩৫) নিহত হয়েছেন।
নিহত সাইদুর রহমান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াবাড়ি এলাকার মো. জৈবতুল্লার ছেলে। ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডার শিমুলতলা এলাকায় বাস করতেন সাইদুর।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন গণমাধ্যমে জানান, তিন হত্যা মামলার আসামি সাইদুরকে ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে’ বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করেন তারা। পরে তার বক্তব্য অনুযায়ী সালনা এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরোও জানান, “জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মধ্যরাতে অভিযানে বের হয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। দক্ষিণ সালনা এলাকায় একটি জঙ্গলের কাছে পৌঁছালে সেখানে ওঁত পেতে থাকা সাইদুরের সহযোগীরা গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে সাইদুর গুলিবিদ্ধ হয়।”
শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুস সালাম সরকার জানান, গোয়েন্দা পুলিশ রাত ১২টা ১০ মিনিটে সাইদুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের দাবি, সাইদুর ঢাকার বাড্ডা এলাকার একজন ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী’। তবে সাইদুরের পরিবারের দাবি, তিনি এলাকায় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বাড্ডার তিন খুনের ঘটনায় সাইদুর জড়িত ছিলেন কি-না সে প্রশ্ন পুলিশ এড়িয়ে গেলেও এর আগে সংবাদ মাধ্যমে স্থানীয়দের সন্দেহভাজন হিসেবে তার নামও এসেছিল।