সিলেটটুডে ডেস্ক | ১২ নভেম্বর, ২০১৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে নতুন করে আরও দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা। নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন তারা।
এর আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিতের খবর দেয়। এ নিয়ে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন।
এখন পর্যন্ত যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২), হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), ইয়াসিন (২৮), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪)। নিহতদের মধ্যে আবিদা নামে দুই বছরের এক শিশু রয়েছে। নাম জানা গেলেও আবিদার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও তূর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখে ছিল। মন্দভাগ রেল স্টেশনের কাছে ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুটি ট্রেনেরই বেশ কয়েকটি করে বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
এতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ও রেলওয়ে থেকে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন। তিনি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।