Sylhet Today 24 PRINT

আইসিজের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রোহিঙ্গারা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

নেদারল্যান্ডের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।

শুক্রবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় রায় ঘোষণার কথা।

তবে এই রায় ঘিরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এই রায়ের মাধ্যমেই তারা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করছেন। আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়াসহ মিয়ানমারে ফিরতে পারবেন তারা।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রক্তাক্ত এক সামরিক অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লাখের বেশি মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর আগে এ দেশে বসবাস করা করে আসছিলেন আরও কয়েকলাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস।

এছাড়া গত ৭০ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান জাতিগত নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতায় মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করানো সম্ভব হয়েছে।

আদালতে গণহত্যার স্বপক্ষে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণসহ সাক্ষ্য দিতে আইসিজেতে গেছেন কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারের খবর শুনে উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোর বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারে এই গণহত্যার জন্য অং সান সুচি কে দায়ী করে রোহিঙ্গারা বলছে, আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার পাশাপাশি নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবী নিশ্চিত হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে।

উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা যুবক নুর মোহাম্মদ জানান, আমাদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে তার বিচার বিশ্ববাসীকে দিয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে অং সান সুচি‘কে আন্তর্জাতিক বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। এটি আমাদের জন্য খুশির খবর। আমরা চাই তার বিচারের পাশাপাশি আমাদের কিছু দাবি পূরণের মাধ্যমে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে।

একই ভাবে রোহিঙ্গা নারী রাবেয়া খাতুন জানান, মিয়ানমার আমাদের সাথে যে অন্যায় করেছে তা বর্ণনা করার মতো না। তারা আমাদের সন্তান-স্বামী কেড়ে নিয়েছে। তারা মায়ের সামনে মেয়েকে আর মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করেছে। বিশ্বের আদালতে এই অত্যাচারের বিচার হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।

এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থানস্থল উখিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে শুরু হওয়া কার্যক্রম রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক সফলতার প্রাথমিক ধাপ। সঠিক বিচারের মধ্যদিয়ে মিয়ানমার বাধ্য হবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সহ সহায় সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়ে পুনর্বাসন করতে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.