Sylhet Today 24 PRINT

নির্বাচন পেছানোর দাবিতে সংখ্যালঘু সংগঠনের কর্মসূচি ঘোষণা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৮ জানুয়ারী, ২০২০

আগামী ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর জাতীয় সমন্বয় কমিটি।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল, ২৪ জানুয়ারি সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা গণঅবস্থান, ২৫ জানুয়ারি অবরোধ এবং ২৭ জানুয়ারি প্রতীকী অনশন কর্মসূচি।

শনিবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা পর্যালোচনা করে ২৮ জানুয়ারি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর জাতীয় সমন্বয় কমিটি আবারও বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় ঘোষণা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রাণা দাশ গুপ্ত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিনে ধার্যকৃত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কোনোভাবে পেছানো যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন থেকে যে কথা বলা হচ্ছে তা নিতান্তই খোঁড়া যুক্তি। ৩০ জানুয়ারি পূজার দিনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আপামর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ইতোমধ্যে মেনে নেয় নি এবং মানবে না।

এতে আরও বলা হয়, চার মাস আগে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমীর দিন রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে আশা করা হয়েছিল, পরবর্তীতে হয়তো নির্বাচন কমিশন এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে না। কিন্তু এবার সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা থেকে সুস্পষ্টরূপে বোঝা গেছে, দুর্গাপূজা ও সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা একই সূত্রে গাঁথা। এর মধ্য দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতি বিবেচনায় আনতে নির্বাচন কমিশন যে অক্ষম সেটা আরেকবার জাতির সামনে প্রমাণ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি ছুটির তালিকায় সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে কোন ভুল থেকে থাকলে তার জন্যে এদেশের সাধারণ পূজার্থীরা কোনভাবেই দায়ী নয়। উপরন্তু যেদিন পূজা নয় সেদিন পূজানুষ্ঠান চাপিয়ে দেওয়া কোনভাবেই কাম্য নয় এবং হতেও পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয় কমিটিভুক্ত ৩১টি সংগঠনের পক্ষে অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাসুদেব ধর, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, স্বপন কুমার সাহা, পলাশ কান্তি দে, মনোরঞ্জন মণ্ডল, ভদন্ত সুনন্দপ্রিয় ভিক্ষু, নির্মল রোজারিও, সঞ্জিব দ্রং, রামানন্দ দাস, সন্তোষ শর্মা, অ্যাডভোকেট অশোক ঘোষ, গোবিন্দ চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.