Sylhet Today 24 PRINT

৫ দিন পর মিললো আশামনির মরদেহ

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ বছরের শিশু আশামনির লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিখোঁজের ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আশামনির লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশামণির চাচা বিল্লাল হোসেন।

এর আগে গত শনিবার বল কুড়াতে গিয়ে কদমতলীর মেরাজনগরের ডিএনডি খালে তলিয়ে যায় ৫ বছর বয়সী শিশুটি। এর পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা খালে নেমে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচদিন পরে সফল হন তারা।

এদিকে সন্তানকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আশামনির মা আকুতি জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের আশামণিকে কি শেষ দেখা দেখতে পাব না? আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দ্রুত আমাদের আশামনিকে উদ্ধার চাই।’

বাবা এরশাদ বলেছিলেন, ‘কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকায়া গেছে। আমাদের মেয়ে যে আর বেঁচে নেই তা আমরা জানি। এখন শুধু একটিই চাওয়া– যক্ষের ধনের লাশটা একবার হলেও দেখতে চাই। অন্তত আমার মেয়ের লাশটা খুঁজে দেন আপনারা।’

এদিন সকালে নিখোঁজ আশামনির সন্ধানে ডি.এন.ডি খান সংলগ্ন মেরাজনগর ফারুকের গ্যারেজে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মেরাজনগর বায়তুস সালাহ জামে মসজিদ মরহুম হাজী আব্দুল লতিফ জামে মসজিদসহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও এইচ.ইউসুফ হাই স্কুলের শিক্ষার্থী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন এ মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাতের পরই দুপুরের দিকে আশামনির মরদেহ খুঁজে পায় ডুবুরিরা।

প্রসঙ্গত শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় আশামনি তার মেরাজনগর ডি-ব্লক বাসাসংলগ্ন খালি জায়গায় বন্ধু ফরাজ (৬), আব্দুল্লাহ (৫), রাহিম (৫) এর সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় পাশে ডিএনডির খালে বল পড়ে যায়। আশামনি বলটি উঠাতে গিয়ে খালের পানিতে ডুবে যায়। এসময় আশামনি আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু দেয়।

শিশু ফরাজ আশামনিকে উদ্ধার করতে আশামনিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। এসময় ফরাজের পা পিছলে যায়। এরই মধ্যে আশামনি ডুবে যায় ও স্রোতে অন্যত্রে চলে যায়। শিশু আব্দুল্লাহ তার মায়ের কাছে সংবাদ জানায়। শিশুর মা আসতে আসতে আশামনি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খালে নেমেও শিশু আশামনির সন্ধান পায়নি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.