Sylhet Today 24 PRINT

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হারে বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিষয়টি রিভিজিট করব, এবার যদি না পারি নেক্সট বাজেটে করব। দেশের গরিব মানুষ কষ্ট পাক আমি চাই না।’

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠক শেষে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ একটি পরিপত্র জারি করে। এটির মাধ্যমে ডাকঘরে যে সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে, সেই ব্যাংকের সুদের হার সরকারি ব্যাংকের সুদের হারের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ডাকঘরে চারভাবে টাকা রাখা যায়। ডাকঘর থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাব খোলা যায়। আবার ডাক জীবন বিমাও করা যায়।

এবার সুদের হার কমেছে ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাবে। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

সুদের হার কমানোর ব্যাখ্যা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডাকঘরের সুদের হার কমানো হয়েছে এটি আমি দেখব। সঞ্চয়পত্রে বলা ছিল ইন্টারেস্ট রেইট কমাতে হলে আমাদের কম ইন্টারেস্টে ফান্ড দিতে হবে ব্যাংকগুলোর কাছে নাহলে ব্যাংকগুলো কিভাবে কাস্টমারকে লোন দেবে। সে কারণে এ কাজটি আমাদের করতে হচ্ছে।’

সঞ্চয়পত্রগুলো কোনো দেশে সমাদৃত নয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো ফাইনান্সিয়াল টুল হিসেবে অর্থনীতিতে ভালো ফল দেয় না। তবে এখান থেকে সরকার লোন নিয়েছে। আমাদের এখন মূলকাজ হচ্ছে কোথাও ছাড় দিতে হবে কোথাও কিছু পেতে হলে।’

সুদের হার এক অংকে নিয়ে আসা মূল লক্ষ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এর সঙ্গে যতগুলো রিলেটেড রয়েছে তাতে হাত দিতে হবে সঞ্চয়পত্রে হাত দিতে হবে। সঞ্চয়পত্র করা হয়েছিল পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য। তবে এটি দিয়ে ১০ কোটি ৫ কোটি টাকা দিয়ে টেন্ডার অংশগ্রহণ করছে। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’

‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টাকা এখানে আসুক আমরা চাই, এজন্য এগুলোকে একটি বিধি-বিধানের মাধ্যমে নিয়ে এসেছি, প্রথমে ২৫ পরে ৫০ এবং পরে যৌথ ১ কোটি টাকা করলাম। তবে আজ যেটা করলাম কাল পরিবর্তন করতে হতে পারে, এটি বাস্তবায়ন হবে ১ এপ্রিল থেকে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, পোস্ট অফিসে আমরা হাত দেইনি, সব চলে গেছে সেখানে বেশি ইন্টারেস্টের আশায়। সবাই এখন এ কথা বলছে দেখি আমরা কিছু করতে পারি কিনা।’

ডাকঘরে গরিব ও প্রান্তিক মানুষ স্কিমগুলো নিয়ে থাকে তাদের জন্য কিছু করা হবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এদের জন্য কিছু করতে হলে করব, আমাদের জানতে হবে তারা কারা, তাদের আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেব, যাতে বেশি কিনতে না পারে সেটি আমরা দেখব। প্রান্তিক মানুষদের জন্য ট্যাক্স রেইট রিকনসিডার করব। এখান থেকে ওখানে যেতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা করে দেব।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ সুদ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করছে, পৃথিবীতে কোনো দেশে এভাবে ব্যাংকে টাকা রাখলে ইন্টারেস্ট দেওয়া হয় না। উল্টো টাকা দিতে হয়। যে দেশে ব্যবসা আছে সে দেশে ব্যাংকে টাকা রাখে না। আমাদের কাছে সবাই সমান। ব্যবসায়ীদের ইফেকটিভ রেইটে টাকা দিতে হবে এটি আমাদের কমিটমেন্ট। না হলে ব্যবসা প্রসার হবে না ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থান হবে না।’

সব জায়গায় ৬ শতাংশে হলে সব সরকারি ব্যাংকে চলে যাবে, তাতে ছোট ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত কিনা- এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ব্যাংক নিতে অনেকেই আগ্রহী।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.