আইভি রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

২১ আগস্টের সেই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন। এরপর হাসপাতালে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন। শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে জিততে পারেননি আর। না ফেরার দেশে পাড়ি জামিয়েছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান।

সোমবার (২৪ আগস্ট) তার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সকাল সাড়ে ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা জানান আইভি রহমানের সমাধিতে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তবে মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন নেতারা। তারপরও গ্রেনেডের বিকট শব্দে একটি কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন, গুরুতর আহত হন অনেকে।

তাদের একজন ছিলেন আইভি রহমান। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। ২৪ আগস্ট তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৬ বছর আগের সেই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েক পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

আইভি রহমানের পুরো নাম বেগম জেবুন্নেছা আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চন্ডিবের গ্রামের এক সম্ভান্ত পরিবারে তার জন্ম। বাবা জালাল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। আট বোন, চার ভাইয়ের মধ্যে আইভি রহমান ছিলেন পঞ্চম। রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও আইভি রহমান বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গেও পারিবারিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। আইভি রহমানের দুই মেয়ে তানিয়া বাখ্ত ও তনিমা রহমান।

রাজনীতি ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন আইভি রহমান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন।