নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন শফিক। কর্মীবান্ধব্ হিসেবে পরিচিত রয়েছে তার। তাই সম্মেলনে শফিকুর রহমান শীর্ষ দুই পদের একটি পেতে যাচ্ছেন এমনটি ধরেই নিয়েছিলেন কর্মীরা। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বঞ্চিত থাকতে হয় শফিকুর রহমানকে।
একই সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসও। গত কমিটির সহ-সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। তবে সম্মেলনে বঞ্চিত হতে হয় কয়েসকেও।
গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে কেন্দ্রের ইচ্ছায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হন নাসির উদ্দিন খান।
৩ মাসের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। তবে নয় মাসেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি নুতন সভাপতি-সম্পাদক। অবশেষে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কঠাের নির্দেশনার পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা চলছে কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সহ-সভাপতি। এই পদে আলোচিত হচ্ছে শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর নাম। এই দুই চৌধুরীর একজন এই পদে আসতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমান বয়োবৃদ্ধ। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। ফলে তার সবসময় সাংগঠনিক তৎপরতায় অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে আগামীতে কমিটির প্রথম সভাপতি পদটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। একারণে এই পদটি নিয়ে সকলের আগ্রহ।
জানা যায়, গত সম্মেলনের পর নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটাতে যুক্তরাজ্যে চলে যান শফিকুর রহমান চৌধুরী। সম্প্রতি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তোড়জোড়ের সময় দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। সার্বক্ষণিক রাজনীতিবিদ ও কর্মীবান্ধব হিসেবে পরিচিত এই নেতাকে এবার মূল্যায়ন করা হবে বলে আশা তার অনুসারীদের।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে, করোনাকালীন সময়ে যখন বেশিরভাগ সাংসদকে নিজ এলাকায় দেখাই যায়নি তখন এই দুর্যোগে এলাকায় থেকে নানা কর্মতৎপরতার মাধ্যমে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এতে দলের ভেতরেও তার ইমেজ বেড়েছে। ফলে প্রথম সহ-সভাপতি পদ তিনি পেতে পারেন বলেও আলোচনা রয়েছে।
সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটির একবটি তালিকা কেন্দ্রে জমা দিলেও এটি যাছাই-বাছাই করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ফলে এই তালিকায় অনেক সংযোগ-বিয়োজন হতে পারে। জেলা কমিটির প্রথম সভাপতি পদ প্রাপ্তিও কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের উপর নির্ভশীল। তারাই এ পদে যোগ্য লোক বাছাই করবেন।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। তিনি বলেন, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। এতে যোগ্য নেতাদের পদায়ন করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় নেতারা এটি বিবেচনা করবেন।