সিলেটটুডে ডেস্ক | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জেলা ও উপকমিটি গঠন করার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'অনেক জায়গায় দেখা গেছে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। নিজস্ব লোকজন দিয়ে কমিটি ভর্তি করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা, পরীক্ষিত কর্মীরা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। এটা কোনও অবস্থাতেই হতে পারে না। সেটা আরও খোঁজখবর নিয়ে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড থেকে জেলা-মহানগর পর্যায়ে যেসব কমিটি হবে; সবাইকে বলবো অবিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।'
কেন্দ্রের কাছে জমা পড়া এসব কমিটির তালিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যেসব কমিটি ইতোমধ্যেই জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এখনই ঘোষণা করা হবে না। যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নাম তালিকায় আছে কিনা তা দেখা হবে।’
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ডব্লিউবিবিআইপি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'করোনার কারণে গঠন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়েছে একথা সত্য। তবে যে কমিটিগুলো জমা হয়েছে তা আমরা হঠাৎ করে দিয়ে দেবো না। যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা আছেন কিনা সেটা দেখবো।'
অনেকেই মনে করছেন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান থেমে গেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দলের ভেতরেও অপকর্ম করলে কেউই রেহাই পাবে না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে পিছিয়ে পড়া কাজগুলো অধিকতর সক্রিয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কর্মসম্পাদনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খালি জায়গা পেলেই যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে এমন নয়, মানসম্মত সড়ক ও সেতু নির্মাণই হবে প্রধান কাজ।’
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংসদ ভবন এলাকায় দুটি গাছের চারা রোপণ করেন।