সিলেটটুডে ডেস্ক | ১৬ নভেম্বর, ২০১৫
উপমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি খেলার মাঠে পিস্তল নিয়ে ঢুকে জরিমানার মুখোমুখি হয়েছিলেন। উপমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি ব্যানারে নিজের নাম না দেখে সচিবালয়ে ভাংচুর করেছিলেন এক যুগ্ম-সচিবের কক্ষ। এবার সেই যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে নেত্রকোণায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার পর সোমবার (১৬ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সব শাখার সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী ৩০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার দিন ঠিক ছিল। সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর শাখাগুলোর সম্মেলন করা হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আশরাফ আলী খান খসরু সাংবাদিকদের বলেন, “এর মধ্যে রোববার সদর উপজেলার ১১ নম্বর কালিয়ারা-গাবরাগাতী ইউনিয়নের সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশ শুরু হলে উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং এক পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘুষি মারেন।”
পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের সব শাখার সম্মেলন স্থগিত করে দেন বলে জানান আশরাফ।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম খান পাঠান বিমল বলেন, মন্ত্রী ও তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর খান মিঠু তাদের চাচাত ভাই আবুল বাশারকে ‘জোর করে’ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বানাতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই নেতৃবৃন্দকে দুই ভাই ‘গালাগাল’ দেয়।
“এক পর্যায়ে সবাইকে অবাক করে প্রকাশ্যে সমাবেশ মঞ্চে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনকে ঘুষি মারেন।”
আমজাদ বলেন, “প্রায় সাত মাস আগে গঠিত ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে জেলার সব নেতা ও হাজারো মানুষের সামনে মন্ত্রী (উপমন্ত্রী) আরিফ খান জয় আমার বুকে ঘুষি মারেন। আমি মন্ত্রীর হাতে মার খেয়ে সম্মেলনস্থল ছেড়ে চলে যাই।”
এর আগে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে অতিথি হিসেবে না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে সচিবালয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের কক্ষ ভাংচুর করেন জয়।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জয় এর আগে ২০১২ সালে ম্যাচ চলাকালে পকেটে অস্ত্র নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে সমালোচিত হওয়ার পাশাপাশি শাস্তির মুখোমুখি হন তিনি।
দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি নেত্রকোনার সাংসদ হন এবং উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।