Sylhet Today 24 PRINT

ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষনেতাদের এমপি যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ০৪ জানুয়ারী, ২০২২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাঙালির স্বাধিকারের বিভিন্ন আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ—সর্বত্রই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ। চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দীর্ঘ ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৫৭ জন ছাত্রনেতা সংগঠনের শীর্ষ দুই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এসব নেতাদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, কেউ কেউ ব্যর্থও হয়েছেন। কেউ কেউ আবার কক্ষচ্যুত হয়ে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীবিরোধী রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হয়ে হারিয়ে গেছেন।

ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাকের সরকারেও যোগ দিয়েছিলেন। কিছু ছাত্রনেতা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকাকালেই বহিষ্কার হন। দলছুট এই ছাত্রনেতাদের দু’একজন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলেও ফিরতে পারেননি।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ৮ জন বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই আটজনের মধ্যে সাত জন আওয়ামী লীগ থেকে এবং একজন ভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সিনিয়রদের মধ্যে ১৯৬৯-৭০ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্বে থাকা তোফায়েল আহমেদ এবং জুনিয়রদের মধ্যে ২০০২-০৬ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বর্তমান সংসদের এমপি হয়েছেন।

এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে ওবায়দুল কাদের, শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, ইকবালুর রহিম ও এনামুল হক শামীম বর্তমান সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে, সুলতান মুহম্মদ মনসুর আহমেদ এমপি হয়েছেন গণফোরাম থেকে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে তিনি বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন।

ছাত্রলীগের ১৯৬৯-১৯৭০ মেয়াদের কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ভোলা-২ আসনের নির্বাচিত সাংসদ। তিনি সাবেক মন্ত্রীও।

১৯৭৭-১৯৮১ মেয়াদের কমিটির সভাপতি ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসনের সাংসদ। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। শেখ হাসিনা সরকারের চার মেয়াদের মন্ত্রিসভার প্রত্যেকটিতেই তার উপস্থিতি রয়েছে।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। সুলতান মনসুর ছাত্রলীগের ১৯৮৬-১৯৮৮ মেয়াদের কমিটির সভাপতি ছিলেন। এরআগে তিনি আওয়ামী লীগ থেকেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ছাত্রলীগের ১৯৮৮-১৯৯২ মেয়াদের কমিটির সভাপতি শাহে আলম বরিশাল-২ আসনের সাংসদ। একই মেয়াদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নেত্রকোণা-৩ আসন থেকে একাদশ সংসদের নির্বাচিত সাংসদ।

১৯৯২-১৯৯৪ মেয়াদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রহিম দিনাজপুর-৩ আসনের সাংসদ।

১৯৯৪-১৯৯৮ মেয়াদের কমিটির সভাপতি এনামুল হক শামীম শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীও।

ছাত্রলীগের ২০০২-২০০৬ মেয়াদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.