আ.লীগ পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশে ছদ্মবেশী একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এজন্য তারা একে একে সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে, দলীয়করণ করেছে। সবার আগে তারা হাত দিয়েছে বিচার বিভাগে। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা শেষ করেছে। বিচার বিভাগ দলীয়করণের কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।’

শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারাদেশে একটা গণতন্ত্রহীন অবস্থা বিরাজ করছে। একটা বেআইনি জবরদখলকারী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। শুধু ক্ষমতা দখলই নয়, তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশের জনগণকে একটা অন্ধকার গহ্বরের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান কখনোই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তার বিরুদ্ধেও দুদক একটা মিথ্যা মামলা দিয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এটা অত্যন্ত বেআইনি কাজ। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়েছে, সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’ এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে নেতাকর্মীসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ইফতার অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে তারেক রহমানও ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, তাহসিনা রুশদীর লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দলের গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও বক্তব্য দেন।