Sylhet Today 24 PRINT

চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষ: ১৪ শিবির কর্মী কারাগারে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে আটক ছাত্রশিবিরের ১৪ কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  
অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার কাকনের আদালতে হাজির করে পুলিশ। 
রিমাণ্ডের আবেদন না থাকায় মহানগর হাকিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯০৮ সালের অস্ত্র আইনে এবং ১৯৪৭ সালের বিস্ফোরক আইনে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়েছে।  মামলা নম্বর ৩ ও ৪।

বিস্ফোরক আইনের মামলায় আটক থাকা ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।  এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৯০ থেকে ৯৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিস্ফোরক আইনের ১৬ (২) ধারার সঙ্গে মামলার বাদি এজাহারে দন্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ও ৪২৭ ধারাও সংযুক্ত করেছেন। 

হোস্টেল থেকে চারটি কিরিচ, ৬টি হকিস্টিক, তিনটি পিস্তলের গুলির খোসা উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনের ১৯ (১) ধারার মামলায় আটক থাকা চারজনকে আসামি করা হয়েছে।  


বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম কলেজে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে শিবিরের কাছ থেকে হামলার শিকার হয় ছাত্রলীগ।  হামলার পর ছাত্রলীগের কয়েক’শ নেতাকর্মী কলেজ ঘিরে অবস্থান নেয়।  ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে শিবিরের নেতাকর্মীরা কলেজ ছেড়ে ‍পালিয়ে যায়।  তবে এর আগে ছাত্রলীগ, শিবির এবং পুলিশ ত্রিমুখী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘাতের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গেইট ভেঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজের ভেতরে ঢুকে যায়।  সেখানে বিভিন্ন ভবনে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়।  পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৬৬ জনকে আটক করে।  সংঘাতের কারণে চট্টগ্রাম কলেজে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা পন্ড হয়ে যায়। শিবিরের হামলায় নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনিসহ কয়েকজন আহত হন। রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ও এর সামনাসামনি মহসিন কলেজের সব হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র-বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়।  দু’টি মামলায় মোট ১১৩ জন শিবিরের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।  বুধবার গভীর রাতে থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো.কামাল হোসেন বাদি হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন। 

বুধবার চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৬৬ জনকে আটক করা হলেও ১৪ জন ছাড়া বাকি সবাইকে আওয়ামী লীগ নেতারা রাতে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.