Sylhet Today 24 PRINT

শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে নিজে নিজে সচিব হয়ে যান : প্রধানমন্ত্রী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

বেতন ভাতা ও মর্যাদা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করে দেওয়ার পরও শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। তাঁরা নাকি বেতন-ভাতা নয় সম্মানের জন্য আন্দোলন করছেন। কিন্তু পড়ালেখা বন্ধ করে সম্মান আদায় করা যায় না। যদি সচিবের মর্যাদা চান তাহলে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে নিজে নিজে সচিব হয়ে যান। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১২৩ ভাগ বেতন বাড়ানো হয়েছে। আমিই শিক্ষকদের চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছর করেছি। তারপরও তারা সন্তুষ্ট নয়। বেতন বাড়িয়েছি, দরকার হলে আবারও বসবো। দয়া করে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা নষ্ট করবেন না।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা তো সবার ওপরে। তারা কেন সচিবের মর্যাদা চান? আমি প্রধানমন্ত্রী হলেও আমার শিক্ষকদের এখনো সম্মান করি।

মেট্রোরেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছি, উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক মাত্র আধাঘন্টায় যাতায়াত করা যাবে। এ নিয়ে এত উত্তেজিত হওয়ার কি আছে বুঝি না।

বেতন বৈষম্য নিরসনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়ায় একযোগে সবক'টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা।

এ সময়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনা বন্ধসহ সব ক্লাস, পরীক্ষা ও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন তারা। তবে চলমান পরীক্ষাগুলো শেষ করা হবে। শিক্ষকদের কর্মসূচিতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

এর আগে দাবি পূরণের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। তবে ওই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২ জানুয়ারি সাধারণ সভা করে শিক্ষকরা সোমবার থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় 'কমপ্লিটলি শাটডাউন' করার ঘোষণা দেন।

শিক্ষকদের দাবি আদায়ে ৩ জানুয়ারি শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে ক্লাসে যান এবং ৭ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে শিক্ষকদের বিরোধিতার মধ্যে সরকার গত ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ করে।

অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা। এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন। গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে প্রথম দুটি দাবির প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.